কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় হুগলা ইউনিয়নের কালিহর জোয়ার্দারপাড়া গ্রামে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সন্দেহে আশেপাশের ৫০টি বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে বাড়িগুলো এবং গ্রামে ঢুকতে ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না কাউকে। করোনার সন্দেহে মৃত নুরুন্নাহারের (৪৫) স্বামী রকিব মিয়া পেশায় একজন কৃষক।
নিহতের স্বজন মো. হানিফ মিয়া জানান গত শনিবার সন্ধ্যায় আমার ফুফুর প্রচন্ড জ্বর হয়েছিল। পরে রবিবারে ভোরে তিনি মারা যান। তার কোন সন্তান ছিল না। তায়েবা নামে একজনকে দত্তক নিয়ে লালন পালন করে বিয়ে দিয়েছেন। তিনি এ গ্রামেই থাকতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে কোথাও বেড়াতেও যাননি।
পূর্বধলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মো. হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনা জানার পর ডা. মো. শফিউর রহমান ও ডা. ফেরদৌসী নিশাতের উপস্থিতিতে টেকনিশিয়ান খাইরুল মৃতের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছে এবং তা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাইক্রো বায়োলজিক্যাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য।
পরে মৃত নারীর রোগের লক্ষণ সম্পর্কে ডা. মো. শফিউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শ্বাস কষ্ট, পাতলা পায়খানা, রক্তবমি সহ ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মতো জ্বর ছিল। দুই থেকে তিন লাগবে রিপোর্ট পেতে। তিনি আরো নিশ্চিত করে জানান মৃত মহিলা কোথাও বেড়াতে যাননি ও তার পরিবারের কেউ দেশের বাহির থেকে আসেননি। তার কন্টাক্ট হিস্ট্রি বলতে গেলে শূণ্য।
পূর্বধলার ইউএনও উম্মে কুলসুম রবিবার দুপুরে পূর্বময় ডটকমকে জানান, ইতোমধ্যে ওই এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টিম মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছে। নমুনার রিপোর্ট পজেটিভ না নেগিটিভ আসার পর সে মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত যে মহিলা মারা গেছেন সরকারি স্বাস্থ্য বিধি অনুযায়ী মৃত মহিলাকে কিভাবে দাফন কার্য করা যায় সে বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করছি। ৫০-৬০টি বাড়ি লকডাউন বিষয়ে তিনি বলেন সেখানে পুলিশ পাহারায় আছে।
স্থানীয় প্রতিনিধি চেয়ারম্যানকে বলে দেয়া হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই গ্রামের মৃতের বাড়ির আশপাশের বাড়ি থেকে কোন লোকজন বের হতে ও আসতে না পারে সে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।