কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
নেত্রকোনার খালিযাজুরী উপজেলার অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা কর্মস্থলে না থাকায় চলতি করোনা ভাইরাস আপদকালীন সময়ে সরকারি ত্রাণ বিতরনে চরম বিঘ্ন ঘটছে বলে উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে জানা যায়। এ বিষয়টি নিশ্চিতও করেছেন ইউএনও এএইচএম আরিফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) বিকেলে খালিয়াজুরী উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা (পিআইও) রাজিব আহমেদ জানান, খালিয়াজুরীতে সম্প্রতি করোনা ভাইরাস প্রকোপ মোকাবেলা মত যুদ্ধে দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ৪০ হাজার টাকা ও ১০ মেট্রিক টন গ্রোস রিলিপ (জিআর) চাউল ত্রাণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ বরাদ্দ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৬ জন সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে তাদের তদারকির মাধ্যমে কর্মহীন সহস্রাধিক পরিবারের মাঝে দ্রুত বিতরন করার কথা। কিন্তু এখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, থানা, হাসপাতাল আর ব্যাংক ছাড়া প্রায় সবকটি সরকারি অফিস তালাবদ্ধ করে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কর্মস্থল ত্যাগ করায় এসব ত্রাণ বিতরনে তদারকি কর্মকর্তার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হিমশিম সহ ত্রান বিতরনে কিছুটা বিলম্ব হবার বিঘ্নতাও ঘটেছে বলে জানান ওই পিআইও।
তিনি আরো জানান, কর্মকর্তা সংকটের কারনে খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের ত্রাণ বিতরন করতে হয়েছে ইউএনও’র নিজের তদারকিতেই।
উপজেলার নগর ইউপি চেয়ারম্যান হরিধন সরকার জানান, এ ইউনিয়নে তদারকির জন্য কোন সরকারি কর্মকর্তা না পেয়ে অবশেষে গত বুধবার ত্রাণ বিতরন হয়েছে শিক্ষা অফিসের একজন অফিস সহকারির উপস্থিতিতে।
এ বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচএম আরিফুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, করোনা দুর্যোগের চলতি পরিস্থিতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষনা থাকলেও নিয়ম হলো তাদের প্রত্যেককেই নিজেদের কর্মস্থলে থাকা।
কিন্তু এখানকার করোনা দুর্যোগ প্রতিরোধে ১৮ জন কর্মকর্তার নাম দিয়ে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তারাসহ অনেককেই এখন কর্মস্থলে না পাওয়ায় সরকারি নির্দেশের জরুরি কাজ বাস্তবায়নে খুব সমস্যা হচ্ছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কর্মএলকায় অবস্থান ও দায়িত্বপালনের জন্য অনুরোদ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।