পূর্বধলা প্রতিনিধিঃ
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আর করোনা ভাইরাসের বিপর্যয় রোধে আজ বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) আরবান কার্যালয়ে আয়োজন করা হয় সংবাদ কর্মীদের প্রচারাভিযান।
প্রচারাভিযানে আরবান এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আরিফুজ্জামান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ রাজু আহমেদ রাজ্জাক সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য এ কে এম মাজহারুল ইসলাম রানা ও জগৎমনি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকি। প্রচারাভিযান সঞ্চালনা করেন আজকের আরবান এর বার্তা সম্পাদক ও পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: জায়েজুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও আমাদের অর্থনীতির উপজেলা প্রতিনিধি জুলফিকার আলী শাহিন, প্রেসক্লাবের সদস্য ও দৈনিক ইকরা প্রতিদিনের সম্পাদক ও প্রকাশক মো: শফিকুজ্জামান শফিক, প্রেসক্লাবের সদস্য ও কলাম লেখক জাকির আহমদ খান কামাল, প্রেসক্লাবের সদস্য ও যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি নূর আহম্মেদ খান রতন, প্রেসক্লাবের সদস্য ও কালের কন্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, আজকের আরবান এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আবুল আরশাদ, প্রেসক্লাবের সদস্য ও ভোরের ডাকের উপজেলা প্রতিনিধি নূর উদ্দিন মন্ডল দুলাল, প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক ও পূর্বময় ডট কমের সম্পাদক ও প্রকাশক মো: শাখাওয়াত হোসেন শিমুল,
প্রেসক্লাবের সদস্য শহীদুল্লাহ সংগ্রাম, ডেইলী অভজারভারের উপজেলা প্রতিনিধি ও তৃতীয় মাত্রার জেলা প্রতিনিধি মো: এমদাদুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রেসক্লাবের উপজেলা শাখার সভাপতি নূরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সদস্য ও পূর্বকন্ঠ ডট কমের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি শাহ মো: মোস্তাফিজুর রহমান রাজিব, সাংবাদিক মুজিবুর, বাংলার আওয়াজ ডট কমের সহ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ খান, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, আমাদের নতুন সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক শেখ সাদি মাসুম ও আজকের আরবান এর উপজেলা প্রতিনিধি জিয়াউর রহমান।
প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রচার ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে পূর্বধলায় কর্মরত সকল পর্যায়ের সংবাদ কর্মীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক তত্বাবধানে দেশকে করোনার মহামারি থেকে রক্ষা করতে যে সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এর অংশ হিসেবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয় সাংসদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করতে উদ্বোদ্ধকরণ কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের তার পক্ষ থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাবস প্রদান করেন এবং সকল কাজে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আরিফুজ্জামান সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনায় প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে লকডাউনের পূর্ণ বাস্তবায়নে প্রশাসনের অধিকতর তৎপরতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
প্রচারাভিযানে বেশ কয়েকটি সুপারিশ উথাপিত হয়। তার মধ্যে আগামিকাল থেকে ৪টি মটরসাইকেল করে সাংবাদিকরা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে জনগণকে লকডাউন মানতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাবে। মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সচেতনতা বাড়ানো, যার যার সাধ্য অনুযায়ী দুঃস্থ ও হতদরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা প্রদান, লকডাউন মেনে ঘরে অবস্থান করতে প্রশাসনিক তৎপরতা আরো জোরদার করা ও বেটারি চালিত অটোরিক্সা বন্ধের পাশাপাশি মোটর সাইকেলে অবাধ ঘোরাফেরা বন্ধ করা।
করোনা ভাইরাস (কোভিড- ১৯)। বিশ্বব্যাপী মহামারি। বর্তমান মানব জীবনের এক চরম বিপর্যয়। চীনের উহান শহরে গত বছরের শেষ লগ্নে প্রথম ছোবল। দুইশতটি’র অধিক দেশ ও অঞ্চলে চলছে এর মহা আগ্রাসন।
দশ লক্ষের অধিক আক্রান্তের মধ্যে অল্পতম সময়ে মৃত্যু হয় প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। গোটা পৃথিবী অসহায়। করোনা প্রতিরোধে এখনো কোন ঔষধ না থাকায় উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা আর সৃষ্টিকর্তার উপর সবকিছু ছেড়ে দেয়া একমাত্র উপায়।
কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধ ও মহামারি থেকে বাঁচতে সমগ্র দুনিয়ায় কার্যত লকডাউন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে কোয়ারোন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে লকডাউন কার্যকর করতে অফিস, আদালত, গণপরিবহন, দোকান-পাট বন্ধ রাখা সহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সহ উপমহাদশে করোনার বিস্তারে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় আমাদের দেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চাতকরণে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থা গ্রহণে মাঠ পর্যায়ে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে।
ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ আমাদের এই দেশকে করোনার মহামারি থেকে রক্ষা করতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন আর সংবাদ কর্মীদের দায়িত্বশীল ভূমিকাই একমাত্র উপায়।