আসমা উল হুসনাঃ
করোনা বাদ দিলাম ; এখনি সময় দেশের সার্বিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর।
দেশের সবগুলো নির্বাচনী আসনে, ৬৪ জেলার মাননীয় এমপি
মন্ত্রী মিনিষ্টারগনের নিজ নিজ এলাকার হাসপাতাল চিকিৎসা ব্যবস্থার কি অবস্থা? প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ? অবশ্যই প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ কারণ ওগুলো ও নির্বাচনী এলাকা ! ওখান থেকেও আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে আপনি নির্বাচিত হন। তাহলে? মাশরাফি কে দেখছি নিজ এলাকায় কাজ করছেন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আপনার এলাকার কি খবর!
সারাদেশ থেকে আপনারা নির্বাচিত হন দেশের ছবি পাল্টে দিতে এখন আপনাদের পাল্টি দিলে হবে কি? তাছাড়া এখন নতুন হাসপাতালের আগে যেগুলো আছে সেখানেই অনুদান নিয়ে হলেও হাসপাতাল গুলোকে হাসপাতালের চেহারা দিন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু শুধু দেশের ক্রান্তিলগ্নেই নয়, যে কোনো উন্নয়নে বরাবরই চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না কোনকালেই।কেউ বলতে পারবেন না নিজ এলাকার উন্নয়নে সাহায্য চেয়ে পাননি। এরই মধ্যে তিনি বলেছেন অনুদানের একটা টাকা এদিক সেদিক হলে তিনি কিন্তু ছাড়ার পাত্রী নন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো আপনার জায়গা থেকে তার কাছে নিজেকে এলাকার প্রয়োজন তুলে ধরে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যই আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। কাজেই আপনার এলাকায় এই সময়ে অন্তত হাসপাতাল গুলোতে কি ঘাটতি রয়েছে তা জরুরী ভাবে সমাধান করুন।
মৃত্যুর দায় অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ঘরে ফিরে যাওয়া খেটে খাওয়া মানুষ, আক্রান্ত মানুষ, করোনা ভয়ে বিনা চিকিৎসায় লাশ হয়ে ফিরে যাওয়া প্রতিটি কেস হিস্ট্রির দায় শুধু জেলা প্রশাসকদের নয়, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এর দায় আপনি এড়াতে পারেন না! না দোষারোপ নয় আপনাদের চেষ্টা ও আন্তরিকতা দেখতে চাচ্ছি।
এখন এই মানুষটাকে সাহায্য করুন। নিজ এলাকার প্রায়োজন তুলে ধরে যার যার এলাকায় যেসব হাসপাতাল চিকিৎসা কেন্দ্র আছে তা যতটা সম্ভব উন্নত করে মানুষ গুলোর পাশে দাড়ান না! শেখ হাসিনার পাশে দাড়ান।
দেশের রাস্তা ঘাট অবশ্যই কম বেশি উন্নত হচ্ছে, কিন্তু দেশের প্রতি জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা ?? আজ আমরা উন্নত দেশের সাথে কোভিড-১৯ নিয়ে তুলনা করার আগে আয়নায় নিজেকে একবার দেখি?! আবারও বলছি করোনা ছাড়াই নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের নিজ নির্বাচনী এলাকার অন্তত চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র জন সম্মুখে তুলে ধরুন।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সহ দেশের বিত্তজনেরা এগিয়ে এসেছেন
আর করোনায় নিজ নিজ এলাকার জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে নিজ নিজ এলাকার হাল যতটা ধরবেন শেখ হাসিনার হাত এই অসময়ে ততটাই শক্ত হবে। এবং অসুস্থ হয়ে যাওয়া মানুষ গুলো অন্তত ধুকে মরবেনা। সবচেয়ে বড়কথা চিকিৎসা সেবা নাগরিকের অধিকার আপনি তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে আছেন।