কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
করোনা মোকাবেলায় সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনাতেও মানুষকে ঘরে রাখতে নেয়া হয়েছে খাদ্য প্রদান কর্মসূচি। সরকারি, বেসরকারি, পৌরসভা সহ ব্যাক্তিগতভাবেও মঙ্গলবারও দিচ্ছে এসকল সহায়তা সামগ্রী। আর ডেকে এনে দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ায় দিনভর মানুষের ঘুরাঘুরিতে পুরো শহর মুখরিত। যে কারনে কোয়ারেন্টাই এখন উল্টো পথে হাঁটছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নেত্রকোনা পৌরসভায় ভীড় জমান সহায়তা নিতে আসা শত শত মানুষ।
বিকালে জেলা প্রশাসকের সহায়তা নিতে সাতপাই স্টেডিয়ামের ভেতর বাহিরে অবস্থান করেন কয়েক শতাধিক মানুষ। অপরদিকে শহরের বড় বাজার এলাকায় সেন্টু রায়ের পাঁচ শত মানুষকে সহায়তার খবরে হাজারো মানুষ ভীড় জমায়। মাইকিং করেও কন্ট্রোল করা যাচ্ছে না এসকল মানুষকে।
জেলা প্রশাসন, স্থানীয় এনজিও, ব্যাক্তি পর্যায় থেকে দিনমজুর শ্রমজীবীদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌছানোর বদলে ডেকে এনে দেয়া হচ্ছে সামগ্রী। আর এতে করে করোনা ঝুঁকি কমার বদলে বেড়েই যাচ্ছে বলে দাবী করছেন সচেতন মহল। তারা আরো মনে করছেন শহরের ভীড় আগের মতোই শুরু হচ্ছে। প্রশাসনের নজর কমে যাওয়ায় এভাবে ভীড় বাড়তে থাকলে করোনা অচিরেই গ্রাস করে নেবে নেত্রকোনা।
এদিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল সহ কোথাও নেই করোনা শনাক্ত করণ কীট। সেনা সদস্যদের গাড়িতে ঘুরাঘুরি দেখা গেলেও মাঠে কোন কাজ করছেন না তারা। তারা বলছেন জেলা প্রশাসক চাইলে তারা সেখানেই কাজ করবে। পুলিশের বেলাও একই অবস্থা। গাড়ি নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে দেখছেন সহায়তা কর্মকাণ্ড।
এদিকে যারা পাচ্ছেন সহায়তা তারা খুশি মুখে ফিরে যাচ্ছেন। আবার অন্য এলাকায় দিচ্ছে কিনা তাও খোঁজ করছেন। যারা পাচ্ছেন না তারা বিরক্ত হয়েই গালি গালাজ করে যাচ্ছেন।