কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
করোনা আতঙ্কে যখন মানুষ ঘরবন্দী তখন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসাধু বন কর্মকর্তা ও স’মিল মালিক মিলে রাস্তার পাশের প্রায় অর্ধশত সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায়।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জের ইউএনও মো. আরিফুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। তহসিলদারকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ থেকে জসিম বাজার হয়ে নাজিরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে। এ রাস্তায় সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রাম এলাকায় রাস্তার দুই পাশের অর্ধশত সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যায় পাবই গ্রামের স’মিল ব্যবসায়ী বুলবুল সিদ্দিকীর ছেলে মো. মহসিন। এ কাজে তার সাথে স্থানীয় বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান পাঠানের যোগসাজেশ রয়েছে বলেও জানা যায়। এ খবর জানাজানি হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ স’মিলে গাছগুলো আটকে দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছগুলো কেটে কৌশলে গুড়িগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়। কিছু গাছ ভ্যাকু দিয়ে উপড়ে ফেলে তারপর কেটে নিয়ে যায়।
স্থানীয় দলিল লেখক এস এম সুজাত জানায়, ‘গাছগুলো কাটার সময় আমরা বাধা দিলে মহসিন বলে সংশ্লিষ্ট সবার অনুমতি নিয়েই কাটা হচ্ছে। ‘আপনারা বাধা দিয়ে আটকাতে পারবেন না।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম মিয়া জানান, ‘গাছ কাটার সময় আমি বাধা দেই। তখন স’মিল মালিক মহসিন জানায় বনকর্মকর্তার নির্দেশেই তিনি গাছগুলো কাটছেন। বন কর্মকর্তার কথা শুনে আমি সরে যাই।’
স’মিল মালিক মহসিন মিয়া জানান, বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান পাঠানের কাছ থেকে আমি গাছগুলো কিনেছি। সরকারি গাছ কিনতে আমি আগ্রহী না হলে ওই কর্মকর্তা আমায় আশ্বাস দিয়ে বলেন ‘আমি বন কর্মকর্তা গাছের বিষয় আমার। আমি যা বলব তাই হবে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান, এসিল্যান্ড, ইউএনও কোন ফ্যাক্টর না।’ এসব কথাবার্তার অডিও রেকর্ড তার কাছে আছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা বন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান পাঠানের কাছে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কিছুক্ষণ পর তিনি মোটরসাইকেলে করে দুর্গাপুর যাচ্ছেন বলে ম্যাসেজে জানান।