কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (নেত্রকোনা) :
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় দেশব্যাপী রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সকল স্তরে সমস্ত রকমের সমাবেশ বন্ধে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশব্যাপী সতর্কতা অবলম্বনে এমনকি ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রামও বাতিল করা হয়েছে। তবে এসব কিছুর তোয়াক্কা না করে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় অনেকে একসাথে জড়ো হয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ভোরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র লতিফুর রহমান রতন, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল, ভাইস চেয়ারম্যান দিলিপ দত্ত, ইউএনও আরিফুজ্জামান, সার্কেল অফিসার সাইদুর রহমান, ওসি মো. আবদুল আহাদ সহ আরো অনেকই।
এ সময় ইউএনও ও সার্কেল অফিসার ছাড়া অন্যরা মাস্ক পরিহিত ছিলেন না। পরে এসব কর্মসূচির ছবি তুলে সামাজিক যোযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন লতিফুর রহমান রতনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। করোনা আতঙ্কে দেশে জুড়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলাকালীন দায়িত্বশীলদের এমন কর্মকান্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যেখানে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে, দোকানপাট বন্ধ রাখতে বলা হচ্ছে। এক সাথে সমাবেত হওয়া বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সেখানে সাধারণকে যারা সচেতন করবে তারাই যদি এমন করে, তাহলে তো আর কিছু বলার থাকে না।
ভয়কে পেছনে ফেলে সাধারণের দ্বারে দ্বারে ঘুরে করোনা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে দিনরাত এক করে করোনাযোদ্ধা খেতাব পাওয়া স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী শ্যামল চৌধুরী বলেন, করোনার যেহেতু কোন ওষুধ নাই, সচেতনতাই করোনার মোক্ষম দাওয়াই। তবে দায়িত্বশীলদের এমন কাজ করা ঠিক হয়নি বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া বন্ধ আছে। তবে স্থানীয়ভাবে ফুল দেয়ার বিষয়ে কোন নিষেধ নাই। কিন্তু বেশি লোক একত্রিত হওয়া যাবে না। ৫ জনের বেশি একত্র হয়ে ফুল দেয়া হয়নি। ছবিতে বেশি লোক দেখা যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা আসলে দুঃখজনক। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।