স্টাফ রিপোর্টারঃ ডাঃ হাকিম আব্দুর রহমানের সাড়ে পাঁচ শতাংশ ভূমিতে ৬ তলা ভবন নির্মানে চুক্তি করে কাজ না করে কথিত ঠিকাদার কাজী বাবু ৪৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ প্রতারনার সাথে কাজীর ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহারকারী স্বপ্না খন্দকার ও তার স্বামী রানা এবং স্বামীর মামাতো ভাই অপু জড়িত রয়েছে। ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া রোডস্থ নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ডাঃ হাকিম আব্দুর রহমান। । গতকাল ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়নে ভুক্তভোগী ডাঃ হাকিম আব্দুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। তিনি প্রতারনার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ তুলে ধরে বলেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্বপ্না খন্দকারের প্ররোচনায় তার পাতানো ভাই কাজী গোলাম মোস্তফা ওরফে কাজী বাবু ওরফে মুক্তাকে বিল্ডিং নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করেন। তার সাথে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন হয়। চুক্তিপত্রে ৭০ ফুট ১৮ ইঞ্চি ডায়ার ৬টি করে রড দিয়ে ৪৪টি পাইল করার কথা থাকলেও তা নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে ভালোভাবে সম্পূর্ণ না করেই গত ৩১/০৮/২০১৮ইং হতে শুরু করে ২৯/০৮/২০১৮ তারিখের মধ্যে কৌশলে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ নিয়ে কয়েক দফা বসার পরে ডিফেন্স পার্টি অফিসের সকলের সামনে তা দিতে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। সে অনুযায়ী ডা. হাকিম আব্দুর রহমান নিজে লেবার নিয়োগ করে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে কাজী বাবু তাকে কাজ বন্ধ করার জন্য হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং টাকাও দিতে চাচ্ছে না। উল্টো নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে। প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ এবং কোতোয়ালী মডেল থানায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক জিডি করা হয়েছে। আব্দুর রহমান এর জামাতার কাছ থেকে বলপূর্বক ১০ লাখ টাকার একটি চেক নিয়েছে এ চক্রটি। চেকের ঘটনায়ও থানায় জিডি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধ অসহায় ডাঃ হাকিম আব্দুর রহমান তার অসহায়ত্বে বর্ণনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।