বাবলী আকন্দঃ সংস্কৃতির শহর হিসেবে খ্যাত ময়মনসিংহ শহর। কিন্তু এ শহরে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা এবং চর্চা করার তেমন কোন জায়গা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর নেই। সংস্কৃতির মাধ্যমে মন্যুষত্বের বিকাশ ঘটানো, সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, বিশ্বের মানচিত্রে সংস্কৃতি নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। তাঁদের এ চর্চার স্থান নেই বলেই সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কর্মকান্ড সংকুচিত হয়ে আসছে। গতকাল শহরের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন এর কর্মী, শিল্পী, কলাকুশলীরা শহীদ ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বর একটি বিবিধ মঞ্চ ও কার্যালয় সমন্বিত বহুমুখী সুবিধাসম্পন্ন ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক পল্লীর দাবিতে মানব বন্ধন করেন। মানব বন্ধনে বক্তাগণ বলেন, ময়মনসিংহের মানুষ সৃজনশীল। আর এ সৃজনশীলতার স্বতঃস্ফুর্ত চর্চা বংশ পরম্পরায় এ অঞ্চলের মানুষের রক্তের উত্তরাধিকার। যার ফলে নানা সংকটের মাঝেও সাংস্কৃতিক চর্চায় এখানকার শিল্পীগণ পিছিয়ে নন। দেশের বাইরেও ময়মনসিংহের শিল্পীগণ নিজস্বতা ধরে রেখে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এ অঞ্চলের শিল্পীদের জন্য একটি সাংস্কৃতিক পল্লী এখন সময়ের দাবি। বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব। ময়মনসিংহের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিল্পীদের একটাই প্রাণের দাবী ময়মনসিংহে সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ। মানব বন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান এর নিকট সাংস্কৃতিক কর্মীগণ স্মারক লিপি পেশ করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান সাংস্কৃতিক কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাঁদের আসস্থ করেন। বর্তমান সরকার সংস্কৃতি বান্ধব। ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক পল্লী বাস্তবায়ন পর্ষদের আহ্বায়ক কাজী আজাদ জাহান শামীমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল মনসুরের সঞ্চালনায় মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতিক কর্মী কবি শামসুল ফয়েজ, অরবিন্দ সরকার জীবন, কবি সনৎ ঘোষ, আবুল কাশেম, সাইফুল ইসলাম পান্নু, সারোয়ার জাহান, সুবীর ধর বিলু, জয়দেব সাহা, আনিসুজ্জামান হাসান, সুমন ঘোষ, এম বাহাদুর, আলমগীর মুক্তা, বাবলী আকন্দ, আসাদুজ্জামান রুবেল, আইরিন আক্তার পুষ্প, জ্যোৎস্না বেগম,অনিক বণিক, তনুসহ শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীবৃন্দ।