কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন :
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার মহিষবেড় গ্রামে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীসহ ৬টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জনৈক বিপ্লবসহ তার সহযোগিদের উপর। এতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে আবারো হামলার ভয়ে আতংকে রয়েছে ভোক্তভুগি পরিবারগুলো।
এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনদিন পার হয়ে গেলেও এখনো দোষীরা আটক না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারী পূর্বধলা উপজেলার জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে শফিকুলের সাথে মো. বিপ্লবসহ অন্যান্যদের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ মীমাংশা করে দেয়।
এরই জের ধরে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১ মার্চ বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বিপ্লবসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল রামদা, শাবল, হকিষ্টিক, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আব্দুল কাদিরের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হেকিম, হাবিল মিয়া, সোলেমান, ইউনুছ আলীসহ ৬টি বাড়ী ভাংচুর করে। এছাড়া বাড়ীর গর্ভবতী সহ মহিলাদের মারপিট করে এবং শ্লীলতাহানীর মতো ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেলে মহিষবেড় গ্রামের আব্দুল কাদিরসহ অন্যান্য ভোক্তভুগীরা জানান, গত রবিবার (১ মার্চ) বিকালে বিপ্লবের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হঠাৎ করে আমাদের বাড়ী ঘরে হামলা চালায়। এসময় আমরা অনেকেই ভয়ে বাড়ীঘর ছেড়ে চলে যাই। এ ঘটনায় দৌড়ে পালাতে গিয়ে আগুনে পড়ে গিয়ে একটি শিশুর ডান হাত পুড়ে যায়। এছাড়াও এক নারীর দায়ের আঘাতে ডান কানে আঘাত পেয়েছে। আমরা এখন ভয়ে আতংকে আছি। কখন আবার আমাদের উপর হামলা চালায়। বিপ্লব একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান ভোক্তভূগীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. বিপ্লবের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জায়গা মাপার সময় ওই বাড়ির লোকজন আমার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। আমার ভাই ও আত্নীয় স্বজনেরা এ খবর পেলে ওদের বাড়িতে যায়। পরে তারা চলে আসার পর ওখানকার লোকজনই পরিকল্পিতভাবে ভাঙচুরের দোষারোপ আমার লোকজনের উপর চাপাচ্ছে।
এব্যাপারে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তাওহীদুর রহমান জানান, মহিষবেড় গ্রামের বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামী এখনও গ্রেফতার হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।