শরাফত আলী শান্ত: ময়মনসিংহ বিভাগীয় ও আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, কর্মর্কতাবৃন্দদের নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখা’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারী রবিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় বিকেবি’র মহাব্যবস্থাপক জামিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কর্মকর্তা ওয়াহিদ নাজনীন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাননীয় চেয়রম্যান জনাব মোহাম্মদ ইসমাইল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় নিরীক্ষা কর্মকর্তা জনাব খন্দকার মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় নিরীক্ষা কর্মকর্তা, মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, আঞ্চলিক নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয় বিকেবি’র মহাব্যবস্থাপক জামিল আহমেদ। তিনি বলেন, আমার যোগদানের সময় ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখা’র প্রফিটের সূচক নিম্নগামী ছিল। অবকাঠঅমোর মান ছিল হতাশাজনক। বর্তমানে কিছুটা অসন্তুষ্টি থাকলেও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখা’র অর্থনৈতিক ও লভ্যাংশ সূচক উন্নয়নসহ ব্যাংকের সাবির্ক উন্নয়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাননীয় চেয়রম্যান জনাব মোহাম্মদ ইসমাইল ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যখন এই ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করি তখন এই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা, মুনাফা বা প্রফিটের সূচক, অবকাঠামোসহ অন্যান্য বিষয়াদি খুব সন্তুষ্টজনক ছিলনা। তারপরও বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অনেকটাই এগিয়েছে। অন্যান্য সরকারী বড় বড় ব্যাংকের মতো না হলেও একেবারে পিছিয়ে নেই। তবে ব্যাংকের সকল শাখার ব্যবস্থাপকদের সহযোগিতায় ও কর্ম দক্ষতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সামনে দ্রæত উন্নতির মুখ দেখবে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়রম্যান ইনভেস্টম্যান্টের উপর গুরুত্বারুপ করে বলেন, কৃষি ব্যাংক জনগণের হাতের সবচেয়ে নিকটতম ব্যাংক। তাই ব্যাংকের অর্থনৈতি সূচক উন্নয়নে আরো বেশি বেশি বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। এবং বিনিয়োগের সঠিক খাত নির্নয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেলাফি ঋণ আদায়সহ স্বাভাবিক ছোট খাটো ঋণের সুদ মওকুফ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া ব্যাংকিং সেবার মানবৃদ্ধি, স্বল্প সুদের আমানত বৃদ্ধি, ভালো ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদান এবং ফরেন রেমিটেন্স আহরনে সরকারী ইনসেনটিভ প্রদানের বিষয়টি রেমিটেন্সের উপকারভোগীদের নিকট প্রচার করাসহ ব্যাংকারদের আচরণগত পরিবর্তন এনে মানবিক ও সহায়তাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ন হয়ে আমানতকারী তথা জনগণের সেবায় নিয়োজিত হবার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। ব্যাংকের ভাবমূর্তি ও সুনাম বৃদ্ধি করে জনতা ব্যাংক কে একটি শ্রেষ্ঠ ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় সিবিআই সভাপতি আব্দুল আওয়াল ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।