পূর্বময় ডেস্কঃ
গাজা উপত্যকার পৃথক স্থানে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উত্তরাঞ্চলীয় শহর জেনিনে একটি বাড়ি ভেঙে দিতে অভিযান চালায় দখলদার বাহিনী। এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ইয়াজান আবু তাবিখ নামের এক ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত হয়। এর একদিন আগে বুধবার হেবরনে আরেক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে দখলদার ইহুদি বাহিনী। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের একটি বাড়ি ভাঙতে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও সাতজন।
ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষের দাবি, বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরে হামাসকে সহায়তায় অভিযুক্ত আহমদ কান্বার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিতে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই বাড়ি থেকে ২০১৮ সালে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। কাম্বার বাড়িও ওই হামাস সেলের অংশ। ওই হামলায় সে সময় এক ইহুদি ধর্মগুরু নিহত হয়। তার বাড়িতে অভিযানের সময় বাধা দেয় স্থানীয় ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ‘সে সময়ে সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ছোড়ে এবং গুলি করে ফিলিস্তিনিরা। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জবাব দেয় সেনাবাহিনী।’
এর একদিন আগে হেবরনে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মোহাম্মদ আল হাদ্দাদ (১৭) নামের আরেক ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
ফিলিস্তিনের আপত্তি সত্ত্বেও ২৮ জানুয়ারি ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি নামের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় জেরুজালেম নগরীর বাইরের আবু দিস নামের একটি গ্রামকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
ইসরায়েল ঘেঁষা ওই পরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকে ফিলিস্তিনে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে।