বাবলী আকন্দঃ আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে একযোগে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে ময়মনসিংহে মোট ৮,৯৩,৬৮৩ জন শিশুর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১ লক্ষ আই ইউ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি নীল ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ২ লক্ষ আই ইউ ক্ষমতাসম্পন্ন ১টি লাল রংয়ের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৩৬৯৪ টি টিকাদান ক্রেন্দ্রে ১ম সারির ৪৫১ জন ও ২য় সারির ১৪৯ জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা ও জনপুষ্টি প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়নে ও ময়মনসিংহের সিভিল সার্জনের আয়োজনে গতকাল সাংবাদিকগণের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরেন সিভিল সার্জন ডাঃ এ বি এম মশিউল আলম।
কর্মশালায় বক্তাগণ বলেন, লাল কিংবা নীল ভিটামিন এ ক্যাপসুল বয়স অনুযায়ী খেতে ভুল হয়ে গেলেও কোন ক্ষতি হবে না। কেননা এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ৬ মাসের কম ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু, ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন এ ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশু এবং মারাত্মক শিশুদের ক্যাম্পেইনের দিনে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। জন্মের পর পরই নবজাতককে শালদুধ সহ প্রথম ৬ মাস (১৮০ দিন) শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো ছাড়া অন্যকিছু না খাওয়ানো, শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমত সুষম খাবারসহ ভিটামিন এ সমৃদ্ধ প্রানিজ ও উদ্ভিজ্জ খাবার হলুদ শাকসবজি, ভোজ্য তেল গ্রহণ করা ভিটামিন এ প্লাস পুষ্টি বার্তায় উল্লেখ আছে এবং এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
এসময় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ কামাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহাম্মদ, নবাগত সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ হোসেনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। কর্মশালা পরিচালনা করেন জেলা সুপারিয়েন্টেন্ডেড মোঃ এমদাদুল হক।