সৌমিন খেলন : কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করায় নেত্রকোনার পুলিশ প্রধান (এসপি) মো. আকবর আলী মুন্সি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া সহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি
গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন।
জেলার ঊর্ধ্বতন এই দুই কর্মকর্তা ছাড়াও আইজিপি ব্যাজের জন্য মনোনীত আরেক পুলিশ কর্মকর্তা হলেন- দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহের শেষদিন মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
এসপি আকবর আলী মুন্সি জেলায় যোগদানের পর থেকে তার সঠিক দিকনির্দেশনায় পূর্বের ন্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শাহজাহান
মিয়া কঠোর পরিশ্রম করে জেলা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ নানারকম দায়িত্ব পালন করছেন।
চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন হত্যা মামলায় মাঠে নেমে সুচারুভাবে তদন্তে বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণ, কৌশলী জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে
জেলা পুলিশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন।
সশরীরে মাদক বিরোধী অভিযান, গলাকাটা, ছেলেধরা আতংক, পিয়াজ-লবণের মূল্য বৃদ্ধি ও গুজব বিরোধী প্রচারনায় রাত-বিরেতে কাজ করে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন শাহজাহান মিয়া।
চেয়ারে বসে না থেকে যেকোনো অপরাধের সংবাদ প্রাপ্তিতে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিচক্ষণতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে রহস্য উন্মোচন করেন। জড়িতদের করেন তিনি গ্রেফতার। এরই সাথে অপরাধীদেরকে অপরাধ থেকে বিরত রাখতে দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
এছাড়াও প্রযুক্তি বান্ধব পুলিশের এই কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ (ফেসবুক) গণমাধ্যমে তার ব্যক্তিগত ও জেলা পুলিশ সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে জেলা পুলিশের ভাবমূর্তি করেছে উজ্জ্বল।
প্রশংসনীয়, সেবাধর্মী ও সাহসিকতা পূর্ণ কাজের সকল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ শাহজাহান মিয়াকে আইজিপি ব্যাজ প্রদান করা হবে। এবছর ‘আইজিপিস এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ’ পাবেন বাংলাদেশ পুলিশের ৫৯৫ জন সদস্য। ৬টি বিশেষ ক্যাটাগরিতে দেয়া হবে পুলিশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এ পুরস্কার।
শাহজাহান মিয়া জানান, জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সির সঠিক সময়ে সাহসী সঠিক দিকনির্দেশনায় এ অর্জন (আইজিপি ব্যাজ)। ঊর্ধ্বতনের সমর্থন, সহযোগিতা না থাকলে কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। পুলিশ সুপারের সাহসি পদক্ষেপে তিনি নিজেও গুরু দায়িত্বপালন করে অর্জন করেছেন আইজিপি পদক।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুন্সি জানান, সকল প্রশংসা আল্লাহ’র। তিনি চেয়েছেন বলেই দায়িত্বপালন করতে পাচ্ছি। সম্মান দেয়ার মালিক আল্লাহ। বাকিটা হলো নিজের পরিশ্রম আর সহকর্মীদের সহযোগিতা এবং তাদের নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন। সেক্ষেত্রে এ অর্জনে রয়েছে সকল সহকর্মীদের অবদান। ভবিষ্যৎ দিনগুলোতেও রাষ্ট্র ও জনতার কল্যানে কাজ করার কথা জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।