আসাদ তালুকদারঃ নেত্রকোণা সদর হাসপাতালের জুনিয়র মেকানিক এমদাদুল ইসলামের ভুল চিকিৎসায় শয্যাশায়ী দিনমজুর অনুকূল।
জেলা সদরের নাগড়া মহল্লার বাসিন্দা দিনমজুর অনুকূলের পায়ে কাঁচ ঢুকে কিছুদিন আগে। এর চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবার ২০( ডিসেম্বর) নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে যায় সে। সেখানে জরুরী বিভাগে থাকা জুনিয়র মেকানিক এমদাদুল তার পায়ের কাঁচ না বের করে পায়ের পাতার অতিরিক্ত অনেকটা অংশ কেটে ফেলে।
এরপর থেকেই শয্যাশায়ী দিনমজুর অনুকূল।
অনুকূল জানায়, সে হাসপাতালের মেকানিক হয়ে আমার পায়ের চিকিৎসা কিভাবে করে? আমি দিন আনি দিন খাই। গত ১০/১২ দিন যাবত আমি কাজে যেতে পারছিনা। ঋণ করে এখন পায়ের চিকিৎসা করছি।
জুনিয়র মেকানিক এমদাদুল ইসলাম জানায়, চিকিৎসা করা আমার দায়িত্ব না হলেও ১৫ বছর যাবত লোকবল না থাকায় এ হাসপাতালে আমি এধরণের কাজ করে আসছি। অনুকূলের এ অবস্থার জন্য আমি দায়ী না।
নেত্রকোণা জেলার সিভিল সার্জন তাজুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, লোকবল সংকট এবং একাজে দক্ষ হওয়ায় এমদাদুল জরুরী বিভাগের ডাক্তারদের সহযোগিতা করে। কিন্তু এধরণের চিকিৎসা সে ডাক্তারের সহযোগিতা ছাড়া করতে পারে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্তা নিব।