বাবলী আকন্দ ঃ প্রতিটি মানুষের জীবনে এমন কিছু রসদ থাকে যেখান থেকে সে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনের দিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অভিমুখে ছুটে যায়। সেই রসদ কখনো দু:খ, কখনো আশা, কখনো স্বপ্ন হয়। সেসবের যখন পরিসমাপ্তি ঘটে কিংবা পূর্ণতা পায় তখন সেই জীবনের রশদকে ভুলে যায় অনেকেই। কিন্তু যারা মানুষ হয়ে উঠে তাঁরা সেটাকে ‘প্রাণ’ মনে করে আঁকড়ে ধরে রাখে। শ্রদ্ধা করে। গর্বে সে সব জায়গায় রশদের অনুপ্রেরণার কথা সবার কাছে তুলে ধরে।
ঠিক তেমনি হাওরের মাটি, বাতাস, নদীর জল গায়ে মেখে হাঁটি হাঁটি পা পা করে ছোট থেকে বড় হয়ে যাওয়া সেই রশদের অনুপ্রেরণায় ছোট ছেলেটি আজ প্রশাসনের যুগ্মসচিব পদে অধিষ্ঠিত। ছেলেটির মাঝে ছোট থেকেই তেজোদ্দীপ্ত প্রতিভা কাজ করেছে। তাঁর অনুপ্রেরণা আর আদর্শে কাজ করতো মা ও বঙ্গবন্ধু। তাইতো তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর কবিতায় বলেছেন,
‘মুজিব তুমি অন্তরে আমার অনুপম অনুভব, মুজিব তুমি দুঃখের উঠোনে আমার আনন্দ উৎসব।’
কখনো বা তিনি বলে উঠেছেন,
‘মুজিব তুমি রক্ত পলাশ মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার, তোমার জন্যেই জীবন জীবন প্রণতি আমার।’
তাঁদের প্রেরণায় বড় হয়ে উঠা ছেলেটি আর কেউ নয়, তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব)এ. এইচ.এম লোকমান। তিনি একাধারে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাহিত্য অঙ্গনেও তাঁর বিচরণ চোখে পড়ার মতো। এক উজ্জ্বল তারকা হয়ে জ্বলজ্বল করে আলো বিকিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তিনি একজন লেখক ও কবি। তাঁর এ সাফল্যের পেছনে কি রশদ আছে সেটাই তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গেল।
তাঁর জন্ম বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। বাবা প্রয়াত এম.এস মুন্সি ও মা প্রয়াত আলহাজ্ব হাজেরা খাতুনের ৭ সন্তানের মাঝে তিনি ৫ম। অন্যান্য ভাই বোন থেকে তিনি আলাদা। তিনি প্রকৃতি ও মানুষের মাঝে প্রেমের মেল বন্ধন খুঁজে বেড়ান। তাইতো তিনি বলেছেন,
‘আমাদের ভালোবাসা প্রতিদিন রচনা করে দুঃখের সাতকাহন
তবুও অমলিন আমলকির পাতার মতো হাসে
পাহাড়ের ঝর্ণার মতো নূপুর পায়ে নাচে’
ভালোবাসাকে কবি প্রকাশ করেছেন উন্মত্ততা দিয়ে,,
‘ভালোবাসা পদ্মা অথবা যমুনার বিশাল বুকের মতো
ভালোবাসা সমুদ্রের বিস্তৃত পেটের মতো নিশ্চয়ই,
নাহলে কেনো এতো উতলে উঠে বারবার
নাহলে কেন যেতে চাইলেই পারি না যেতে
নাহলে কেন বারবার হয়ে যাই এমন নুলো ভিখারী!’
মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তিনি একজন সফল জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত। ১৯৬৯ সালের ৯ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলার গল্প জানতে চাইলে নিরহংকারী এ মানুষটি মিষ্টি হেসে শৈশবে ফিরে যান। তাঁর স্মৃতিতে তিনি খুঁজে ফেরেন অতীত কষ্ট, হাসি, আনন্দ।
কিশোরগঞ্জ সেইসময় মহকুমা থাকায় যেকোন কাজে ময়মনসিংহে আসতে হতো। আজকে সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা যত সহজ আগে তেমন ছিলনা। নিকলী হাওর এলাকা হওয়ায় এতো দূরে নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হতো। এতো দূরে এসে সারাদিন পার করে তিনদিন পর তাঁর মা ম্যাজিষ্ট্রেট এর দেখা পেয়েছিলেন। মায়ের সেই কষ্ট তিনি মনে রেখেছেন আর সেইসময় তিনি নিজ মনেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁকে ম্যাজিষ্ট্রেট হতে হবে।
তিনি নিকলীর সাইটধার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশ করা পর ঢাকায় বড়বোনের কাছে চলে যান। সেখানে রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। তাঁর পরিবারের ইচ্ছে ছিল তাঁকে ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দেখতে। কিন্তু তিনি সে সময় দেখেছিলেন একজন ডাক্তারের থেকে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটের গুরুত্ব সমাজে অনেক। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে পাশ করে তাঁর স্বপ্নের সিঁড়িতে একে একে পা দিয়ে অতিক্রম করতে থাকেন। এরপর কাঙ্ক্ষিত সেই বিসিএস(প্রশাসন) এর ১৫শ ব্যাচে উত্তীর্ণ হন।
যদি লক্ষ্য ঠিক থাকে তবে সেই লক্ষে পৌঁছাতে অবশ্যই পরিশ্রমই একমাত্র উপায়। তিনি তাঁর লক্ষ্য ঠিক রেখে এগুতে থাকেন। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি সেসময় সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তাঁর প্রকাশিত ২টি যৌথ কাব্যগ্রন্থের মধ্যে ‘উঠে আসে কংকাল’ ১৯৮৭ সালে এবং ১৯৮৯ সালে ‘শ্রাবণের হৃদয় নদী’ প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি সাংগঠনিকভাবে ম্যাগাজিন সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০-৯১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সাহিত্য ও ম্যাগাজিন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১৯৯০ এ ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ বার্ষিকী প্রতিভাস সম্পাদনা করেন।
১৯৯৫ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে তাঁর প্রথম কর্মস্থল ছিল রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার, এরপর কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার, ১৯৯৮ সালে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ হতে ২০০১ সাল সময়কালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন মিঠাপুকুর উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কোষাধ্যক্ষ এবং তৎকালীন পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী এইচ.এন. আশিকুর রহমান এমপি, নির্দেশনায় ও তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সমগ্র রংপুর জেলায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন সফলভাবে সমাপ্ত হয়।
২০০১ সাল হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ফেনী সদর উপজেলা ও দাগনভুইয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৪ হতে ২০০৬ সময়কালে চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত পালনকালীন গণপূর্তের নিয়ন্ত্রণাধীন আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় ওসান কর্পোরেশন লি:, কর্তৃক ২০ কাঠা ভূমি ২ তলা বাড়ীসহ (যার আনুমানিক মূল্য ৪০ কোটি টাকা) অবৈধভাবে ভুয়া কাগজ সৃজনের মাধ্যমে হস্তান্তর করার বিষয়টি প্রবল চাপের মুখে থেকেও উদ্ঘাটন করে সরকারের স্বার্থ সংরক্ষণ করণে সাহসী ভূমিকা রাখেন। সরকারের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সাহিত্যচর্চা করে যান। এরই মধ্যে ২০০৫ সালে তাঁর অন্তরের অনন্ত বেলা কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
২০০৬ হতে ২০০৭ সময়কালে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সোনাদিয়া দ্বীপের প্রায় ৯০০ একর অবৈধ চিংড়ীঘের (সরকারি ভূমি) নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও সৈনিকদের সহযোগিতায় ৭০০ শ্রমিক নিয়োগ করে সফলভাবে উদ্ধার করেন।
এরপর ২০০৭ সাল হতে ২০০৯ পর্যন্ত নরসিংদী পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯ সাল হতে ২০১১ সালের সময়কালে নেত্রকোণা জেলার আটপাড়া উপজেলায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য নেত্রকোণা জেলায় সেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিবেচিত হন।
পর্যায়ক্রমে ২০১১ হতে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (উপসচিব), ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক, ২০১৫ সাল হতে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, শেরপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ২০১৬ হতে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) / যুগ্ম সচিব এবং ২০১৮ সাল হতে বর্তমান অবধি তিনি ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) হিসেবে নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইতিমধ্যেই তিনি কাব্য সাহিত্যে অবদানের জন্য দেশের নানান বরেণ্য প্রতিষ্ঠান থেকে ০৮টি পুরস্কার/সম্মাননা গ্রহণ করেছেন। তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ০৯টি। এর মধ্যে ২০১৩ সালে আলোর নদী জলের আকাশ, ২০১৪ সালে জোছনার বনে নীল বসন্ত, ২০১৫ সালে প্রেমের প্রজ্ঞাপন, ২০১৬ সালে অক্ষরের নক্ষত্র দীপাবলি, ২০১৭ সালে তুই ও প্রাণ পতনের শব্দাবলী কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। তিনি ২০১২ ও ২০১৩ সালে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন কর্তৃক নজরুল জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকা সম্পাদনা করেন।
এছাড়া চলতি বছরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর উদ্যোগে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ময়মনসিংহ বিভাগের আয়োজনে জয়িতা বাংলার স্মরণিকা সম্পাদনা করেন।
তিনি সাহিত্য ও তাঁর কর্মদক্ষতার জন্য ২০১৩ সালে আমরা কুঁড়ি জাতীয় কিশোর সংগঠন ঢাকা বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত আমরা কুঁড়ি এওয়ার্ড, মহীয়সী সাহিত্য ও পাঠচক্র পাবনা কর্তৃক কাব্য সম্মাননা, খুলনার গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ হতে মাইকেল মধুসূদন গাঙচিল সাহিত্য সম্মাননা, বাংলাদেশ পয়েটস ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় ১৩ তম সাহিত্য সম্মেলনে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্মাননা, ২০১৪ সালে সংশপ্তক শিশু কিশোর সংগঠন, ঢাকা কর্তৃক প্রদত্ত বঙ্গবীর ওসমানী স্মৃতি পুরস্কার, ২০১৬ সালে আমরা কুঁড়ি জাতীয় কিশোর সংগঠন ঢাকা বাংলাদেশ কর্তৃক প্রদত্ত একুশে সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৭ সালে শহীদ নজরুল ইসলাম স্মৃতি পদক ও সম্মাননাসহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাব কর্তৃক ২০১৯ খ্রি. জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা অর্জন করেন।
এতো উজ্জ্বল প্রতিভার অধিকারী হাসনাত লোকমান বিবাহিত জীবনে সহধর্মিণী খাদিজা আক্তার লাভলীর উৎসাহে প্রস্ফুটিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আর প্রস্ফুরিত প্রতিভা বিকশিত হচ্ছে ২ পুত্র ও ২ কন্যা নীলান্তি, লুদমিলা, আন্তরিক ও অনুভবের সাহচার্যে।
একজন সফল অনুষ্ঠান উপস্থাপক হিসেবেও বিশেষ খ্যাতি ও সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।
তিনি বর্তমান সরকারের এসডিজিএস বাস্তবায়নের লক্ষেই ১৭ টি গোলকে একত্রে করে একটি যথার্থ ইংরেজি বাক্য তৈরী করেছেন যা ময়মনসিংহ সাবেক বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান সহ বিভিন্ন মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরণা তৈরী করেছে। ১৭ টি গোলকে একত্রে বলেছেন, আই হোপ উই ক্যান। যা বলার সাথে সাথেই মানুষের মধ্যে বর্তমান সরকারের এসডিজিএস এর পরিকল্পনা চিন্তায় ধারণ করা যায়। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শব্দের আদর্শিক বৈচিত্র্যময়তা তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুকে আঁকড়ে ধরে নিজ দেশকে ভালোবেসে লাল সবুজের রক্তমাখা পতাকাকে বুকে নিয়ে পাঁড়ি দিচ্ছেন এক নিখাদ ভালোবাসার পথ।
সাধারণ থাকতেই পছন্দ করেন মানুষটি। নিরহংকার মানুষটি সবাইকে সাধারণ হতে বলেন। যত সাধারণ হবেন ততই অন্যান্যদের কাছে আপনি অসাধারণ হয়ে উঠবেন। ঠিক এমনটিই জানান দেন।
মানুষের জন্য ভেবে যাওয়া আর শুভ কামনায় তিনি তাঁর কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেন,
আমাদের সব ইচ্ছেগুলো
গোলাপ হয়ে ফুটুক
অন্ধকারের বন্ধ ঘরে
প্রদীপ জ্বলে উঠুক।
আমাদের সব স্বপ্নগুলো
মুজিব নামে হাসুক
বাংলাদেশের বুকে বুকে
শাপলা হয়ে ভাসুক।
তিনি তাঁর প্রিয় মাতৃভূমি সম্পর্কে বলেন,
‘হৃদয় জুড়ে বাংলাদেশ
ব-দ্বীপ আমার বুক
মনের আয়নায় ভেসে থাকে
শেখ মুজিবের মুখ।
জাতির পিতা, স্বদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, মানবতা, প্রকৃতি সহ নানান বিষয়ে লেখাই তাঁর আরাধ্য। অবশেষে মানুষ ও তাঁর ভক্তদের প্রতি গঠনমূলক ও সুস্থচিন্তা করার আহবান জানান তিনি।