বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, মাদার অফ হিউম্যানিটি জননেত্রী শেখ হাসিনা ৪র্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে। দেশের ১৮ কোটি মানুষের একমাত্র আস্থার জায়গাটি আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। প্রতিটি মন্ত্রণালয় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা শতভাগ নিশ্চিতায়নের লক্ষ্যে দিন-রাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে চলছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি ৪ এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগ্রাম বাস্থবায়ন করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তী দিয়ে এনজিওদেও কাছ থেকে ইওআই আহবান করা হয় । উক্ত প্রকল্পের এনজিও কর্তৃক-ইওআই (ঊঙও) জমা নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। টাংগাইলের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মিজার্পুরের এনজিও উদয় পাঁচ (০৫) সিরিয়ালে স্থান পায়। জানা য়ায় উদয়ে নিবার্হী পরিচালক দে সুধীর চন্দ্র অসৎ উপায় অবলম্বন করেও টাকার বিনিময়ে আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগ্রাম পাওয়ার পায়তারা করছে।
টাংগাইলের মির্জাপুরের এনজিও উদয় মূলত বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন এর কালো তালিকা ভুক্ত এনজিও। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের সাথে কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়ে ১৯/০৪/২০০৯ এবং ০৭/১২/২০০৯ তারিখে টাকা পেয়ে কাজ শুরু করে করে। কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে উদয় সীমাহীন দূর্নীতি করলে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন টাকা ছাড় দেওয়া বন্ধ করে দিয়ে কালো তালিকা ভূক্ত করে।
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, যাদের ‘ভিটে আছে, ঘর নেই’ তাদের বসতঘর বানানোর জন্য ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গৃহায়ন তহবিল’ গঠন করেন । তহবিলের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি ইউনিট। প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে স্টিয়ারিং কমিটি এ তহবিলের তদারকি করে। এই বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গৃহায়ন তহবিল’ থেকে ঋন নিয়ে টাংগাইলের উদয় অন্যতম ঋন খেলাপী হিসেবে অন্তরভূক্ত হয়েছে। এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহায়ন তহবিল ইউনিট ১৭/০৬/২০১৯ ইং তারিখে প্রকাশ করেছে। এই তালিকার প্রতিলিপি মহাপরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বরাবর পাঠানো হয়েছে।
টাংগাইলের মিজার্পুরে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী অনেক সদস দের ঘর প্রদান করাসহ নানাবিধ প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয় এবং ডিপিএস করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই উদয় এনজিও। যারা বেশী টাকা জমা করেছে তারা টাকা ফেরত চাইলেই মামলার উদয়ের নিবার্হী পরিচালক দে সুধীর চন্দ। বর্তমানে টাংগাইলের মিজার্পুরের উদয়ের সদস্যদের চাপের মুখে উদয়ের নিবার্হী পরিচালক দে সুধীর চন্দ এলাকা ছাড়া হয়ে ঢাকায় অবস্থান করে টাকার বিনিময়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি ৪ এর সাব-কম্পোনেন্ট ২.৫ আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রোগ্রাম নেয়ার পায়তারা করছে। উদয়ের এই মিশন বাস্তবায়ন হলে সরকার দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রশ্নবৃদ্ধ হবে।