স্টাফ রিপোর্টারঃগতকাল ৩-১১-২০১৯ মঙ্গলবার ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সহযোগীতায় ও নারীর জয়ে সবার জয় ক্যাম্পেইন এর সাথে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নারী নেতৃবৃন্দ এর আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগরের শীর্ষ নারী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপর্যুক্ত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের আরপিও অ্যাক্ট ২০০৯ (সংশোধিত)এর ৯০ এর খ ধারা মোতাবেক ২০২০ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি সহ দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে নারীর ৩৩ শতাংশ আসন নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে সংযোজিত আওয়ামীলীগের গঠনতন্ত্রের ৫ নং ধারার ৪ উপধারা ও বিএনপি’র ৬নং ধারার খ উপধারার নারীর অন্তভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ রয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এটি মানা হলেও তৃণমূলে এটি উপেক্ষিত। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগে নারীর অন্তর্ভুক্তি ১০.৬৭ শতাংশ, মহানগরে ৪ শতাংশ ও উপজেলা পর্যায়ে এটি ১/২ শতাংশে সীমাবদ্ধ,কোথাও শুধুমাত্র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছাড়া আর কোন নারীই নেই কমিটিতে ।ময়মনসিংহে বিএনপি’র ক্ষেত্রেও নারী অর্ন্তভূক্তির সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত(কমিটিগুলো অনেক আগে করা হয়েছে)। এক্ষেত্রে নারীনেত্রীদের পক্ষ থেকে বলা হয় তৃণমূলে অর্থাৎ জেলা/ উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের আরপিও ও দলের গঠনতন্ত্র মানা হচ্ছেনা বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান।
এসময় সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনিরা সুলতানা মনি, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক তসলিমা বেগম লাভলী, মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছোলেমা সিদ্দিকী জেসমিন, বিএনপি’র ময়মনসিংহ জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন পারভীন, সাধারণ সম্পাদক তানজিনা চৌধুরী লিলি, সদর উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়াম্যান ও মহানগর মহিলা দলের সভাপতি খালেদা আতিক,সাধারণ সম্পাদক আতিয়া ফাইরুজ মলি, ময়মনসিংহ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারা সুলতানা সহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজপথে সক্রিয় নারী নেত্রীরা কেন্দ্রীয় কমিটি সহ দলের সকল পর্যায়ের কমিটিতে নারীর ৩৩ শতাংশ আসন নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। প্যানেলিস্ট নারী নেত্রীরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ময়মনসিংহ জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও নবগঠিত জেলা মহিলা দলের সভাপতি বলে,”ময়মনসিংহে মূল দলের কমিটি অনেক আগে করা হয়েছে বিধায় নারীর অন্তর্ভুক্তি কম,এখন থেকে মহানগর সহ উপজেলা কমিটিতেও সর্বোচ্চ সংখ্যক নারী অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো”।সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মনিরা সুলতানা মনি”মূলদলে নারীর অধিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ডিআই প্রেসার গ্রুপ হিসেবে এডভোকেসী করায় ধন্যবাদ জানান।তিনি জানান ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে ২০.৭১ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং অাগামী ২০ও২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ত্রি-বার্ষিক কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা আরপিওর ২০২০ সালের বাধ্যবাধকতা ও দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক নিশ্চয়ই ৩৩ শতাংশ নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিন্ত করবেন।তিনি আরও বলেন কেন্দ্রের ধারাবাহিকতা অনুসারে তৃণমূলেও যেনো ৩৩ শতাংশ নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়,এক্ষেত্রে সাংবাদিকবৃন্দ লেখনীর মাধ্যমে এবং নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রের মতো তৃনমূলে অর্থাৎ জেলা/উপজেলা/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড পর্যায়েও ৩৩ শতাংশ নারীর অন্তর্ভুক্তি ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তাহা মনিটরিং করতে পারেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংবাদ সম্মেলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ময়মনসিংহ রিজিওনালের কো – অর্ডিনেটর নিরূপমা ভৌমিক।