সম্রাট পারভেজ, জাককানইবি প্রতিনিধি:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৯-২০ সেশনের ১ম বর্ষের এ,বি,সি,ডি ও ই ইউনিটে ভর্তি পরিক্ষার মাধ্যমে আজ শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাহায্য সহযোগীতার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাধারন সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব ।ভর্তি পরিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীর লক্ষ্যে শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে দায়িত্ব ভাগ করেও দেয়া হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, বিশ্ববিদ্যালে হল সংকট থাকার পরও হলের অভ্যর্থনা কক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে আগত ভর্তিচ্ছুদের অভ্যর্থনা দিয়ে আবাসন ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতে কোন কষ্ট না হয় এজন্য বিভিন্ন ভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে। এমনকি নিজেরা না ঘুমিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের হল রুম ও মেসের রুম ছেড়ে দিয়েছে জাককানইবির শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
হলে মান সম্মত পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা এবং স্বল্প খরচে খাবারের ব্যবস্থা করার দিকেও নজরদারি দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে যে মূল্য তালিকা দেয়া হয়ে সে অনুযায়ী খাবার মূল্য নিচ্ছে কিনা তার তদারকির ব্যবস্থা করেছেন তারা। শাখা ছাত্রলীগের আরেক নেতা মোস্তাফিজুর রহমান রিমন বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সুনাম ধরে রাখতে রাত দিন পরিশ্রম করেছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
এছাড়াও সরেজমিনে দেখা যায়,ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য প্রদান ও শিক্ষার্থী সহায়তা কেন্দ্র, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানাতে শুভেচ্ছা মিছিল, পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের ক্যাম্পাসে বসার ব্যবস্থা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে আশে পাশে খাবার হোটেল গুলোতে খাদ্যের মান ও দাম টিক রাখা,পরিবহন সমস্যার দূর করতে জয় বাংলা বাইক সার্ভিস সহ ভাড়ার ব্যাপারে নজরদারী করা হয়েছে।এদিকে ছাত্রলীগের মাহফুজুর রাজ্জাক অনিকের সহায়তায় পরিক্ষার পর পরই ক্যাম্পাস পরিষ্কার পরিছন্নতার বিষয়ে নজরদারীর ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রলীগের এই আয়োজনকে স্বাগত জানিয়েছে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গরা। অনুভূতিও ব্যক্ত করেছেন দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীরাও জানিয়েছে তাদের অনুভূতির কথা, রাজশাহী থেকে আসা রাসেল নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, “এখানে আমার তেমন পরিচিত কেউ ছিল না, ভাবছিলাম কোথায় থাকব, কিন্তু এখানে আসার পর ভাইয়াদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়েছি”।এছাড়াও দ্বিতীয় বার ভর্তি পরিক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থী জানান,”গত বছরের চেয়ে এ বছর বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেক টা উন্নত হয়েছে”।
এ বিষয়ে জাককানইবির শাখা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মো: রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, জাককানইবি শাখা ছাত্রলীগ শিক্ষার্থী বান্ধব রাজনীতি করে, তাই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসে যাতে কোন ধরণের সমস্যায় না পড়ে যায় সেই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে পরীক্ষা চলাকালীন সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সার্বক্ষণিক কাজ করেছি। ইতোমধ্যেই আমরা আবাসিক হলগুলোতে ভর্তিচ্ছুদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। এছাড়াও প্রত্যেকটি ভবনের সামনে ভর্তিচ্ছুদের সহায়তার জন্য ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। এছাড়া ভর্তিচ্ছু এবং তাদের অবিভাবকদের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ ও বসা সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছি”।
ভর্তি পরীক্ষা যতদিন চলবে এই সেবাকার্যক্রম ততদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানান। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাএলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, “দূর-দুরান্ত থেকে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এবং সাথে থাকা অভিভাবকগণ আমাদের অতিথি তাদের যেকোন সমস্যা দেখায় দায়িত্ব আমাদের তিনি আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা ছাএলীগ শিক্ষার্থীর এবং অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং ছাউনির ব্যবস্থা করেছি যেন তারা একটু আরাম করে বসতে পারে”। এদিকে, ছাত্রলীগের সহায়তার এমন বর্ণিল আয়োজনে মুগ্ধ শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা। এমন ছাত্রলীগের দ্বারাই সোনার বাংলা গড়া সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অবিভাবকেরা। এবং ছাত্রলীগকে সকল ক্ষেত্রে এ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার কথা জানান তারা।