স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাড়িঘর হামলা ভাঙচুর ও জমি দখলের এর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী সিদ্দিকুর রহমান জামিনে এসে আবারও হামলা চালায় ভুক্তভোগী পরিবারের উপর। হামলা চালিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার পর আঘাত প্রাপ্ত স্বপন মিয়া ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান। তাঁর দুই ভাই রিপন ও মিলন মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক। গত ১৬ নভেম্বর ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের মুকোরিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।
আহত স্বপন মিয়া (৪৫) মৃত্যু ও তার আহত দুই ভাইয়ের ওপর হামলার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবার গতকাল ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত স্বপনের স্ত্রী আছমা আক্তার এর উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাদের নিকটাত্মীয় এরশাদ হোসাইন। সংবাদ সম্মেলনে নিহত স্বপনের মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছেলে ও তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেয়ের চোখে মুখে বিষ্ময় আর প্রশ্ন নিয়ে তাকিয়ে ছিল।
নিহতের পরিবার জানান, প্রতিবেশি সিদ্দিক মিয়া, জয়নাল আবেদীন ও আয়ুহান মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার সকালে মুকোরিয়া বাজারে মকবুলের দোকানের সামনে সিদ্দিক মিয়ার হুকুমে জয়নাল ও আয়ুহানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের সঙ্গবদ্ধ দল দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের তিন ভাই স্বপন মিয়া (৪৫) রিপন মিয়া (২৫) মিলন মিয়া (৩৫) ওপর আক্রমন করে রক্তাক্ত কাটা জখম ও উভয়ের হাত-পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাদের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখান থেকে স্বপনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকেল চারটার দিকে স্বপন মিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে মারা যান। সংবাদ সম্মেলন চলাকালীন সময়ে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রয়েছে বলে জানান নিহতের স্ত্রী আছমা খাতুন।
উল্লেখ্য এর আগে গতমাসের ২৯ তারিখে জনৈক ব্যক্তিরাই বাড়ী ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে। স্বপনসহ তার ভাইদের ওপর হামলা করে আহত করে। তার প্রেক্ষিতে ৩২৬/ ৩২৫/ ৩০৭/ ৩২৪/ ৩২৩/ ৩৮০/৪২৭/ ৫০৬/ ১১৪ ধারায় গৌরীপুর থানায় একটি মামলা চলমান রয়েছে। মামলা থেকে জামিন নিয়ে গত ১৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে আবারও তারা সংঘবদ্ধ হয়ে নৃশংস আক্রমন করলে স্বপন, রিপন, মিলন আহত হন। আহত অবস্থায় ১৭ নভেম্বর রবিবার বিকেল চারটার দিকে স্বপন মারা যান। মিলন মিয়া আশংকাজনক অবস্থায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত স্বপনের ছেলে কানিজ (১২) মেয়ে সনিয়া আক্তার স্বর্না (৮) ও স্বপনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী চায়না বেগম।