পূর্বময় ডেস্কঃঃ ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অন্তর্গত চর হরিপুর গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে অবস্থিত চর হরিপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ-এ আজ শতাধিক শিক্ষার্থীদের দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা তৈরিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আগ্রহে টিআইবির অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক ময়মনসিংহ এর ইয়েস সদস্য মোঃ ইয়াসিন আলীর উদ্যোগে তথ্য প্রাপ্তির আবেদন ফরম পূরণ এ হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং এবং দুর্নীতি বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।
শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কার্যক্রমটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক (সোহাগ)।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শাখার প্রধান শিক্ষক শাহীন মিয়া, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সানি, ফুয়াদ হাসান সাকিব, মোঃ নূরুল ইসলাম, নুসরাত জাহান স্মৃতি, আম্বিয়া খাতুন, মুন্নী রহমান, আজহারুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা এবং আন্তরিকতায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ফ্যাসিলেটেটর-এডভোকেসি এন্ড লিগ্যাল এডভাইস সেন্টার-এর ফ্যাসিলিটেটর নিয়ামুল বারী ও ইয়েস সদস্য ইয়াসিন এবং জিহাদ।
সোহাগ এবং শাহীন দুই বন্ধুর নিরলস প্রচেষ্টা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে গ্রামের শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি দেশপ্রেম এবং মানবিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত করে চলেছে। বর্তমানে সাড়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর জ্ঞান আহরণের কেন্দ্রস্থল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শাহীন স্যার বলেন যে তারা চায় তাদের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি দেশপ্রেমী এবং দুর্নীতি বিরোধী হোক সর্বপোরি আদর্শ মানুষ গড়ে উঠুক। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ময়মনসিংহ সনাক ও টিআইবি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার কারণে। সেই সাথে ইয়াসিনকে ধন্যবাদ জানান তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুর্নীতি বিরোধী চেতনায় জাগ্রত করতে হাতে-কলমে তথ্য অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও নিজের এলাকার অসচেতন মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করে এরকম একটি কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করায়। তারা আশা প্রকাশ করেন সনাক ময়মনসিংহ প্রান্তিক পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক এরকম কার্যক্রম বিস্তৃত করবে।
কেননা গ্রামের অনেক মানুষ এখনও অনেক অসচেতন এবং “তথ্য অধিকার আইন ২০০৯” সম্পর্কে গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই অজ্ঞ।
ইয়েস সদস্য ইয়াসিন বলেন, আমি বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য প্রাপ্তির জন্য আবেদন করে উপলব্ধি করি যে, “তথ্য অধিকার আইন ২০০৯” সম্পর্কে অনেক দপ্তর এখনও তেমন কোনো ধারণা রাখে না। তাই যদি মানুষ প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে আবেদন করার ব্যপারে না জানে তাহলে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাই আমি আমার নিজের এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে এই বিদ্যালয়ের পরিচালক মহোদয়’র সাথে কথা বলে দিনক্ষণ ঠিক করে কাজটি করি।
আমার পরবর্তী লক্ষ্যের পরিসর আরো ব্যপক। এই কাজটিকে এতো ফলপ্রসূ করেছেন আমাদের এলাক ফ্যাসিলেটেটর নিয়ামূল বারী ভাই।
আমি মনে করি সকল সনাকের ইয়েস সদস্যগণ যদি এরকম কার্যক্রম প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস্তবায়ন করে তাহলে টিআইবির লক্ষ্য পূরণ করা অনেকাংশে সহজ হয়ে যাবে কেননা বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে এবং তাঁরা অসচেতন। গ্রামীণ মানুষকে সচেতন করতে পারলে আমাদের রক্তে কেনা স্বদেশ দুর্নীতির বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্তি পাবে।