বাবলী আকন্দ ঃ জনগণের স্বার্থেই আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। আর জনগণ যদি সেই আইন মেনে চলে তবে আইন প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। একটি দেশকে সুশৃঙ্খল করার প্রথম ধাপই সড়কে শৃঙ্খলা আনা। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন আইন সম্পর্কে সবাইকে অবগত হতে হবে।
আজ ময়মনসিংহের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পাটগুদাম ব্রিজে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ এর আয়োজনে “সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ এর ‘প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম ‘ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবাইকে “সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ মেনে চলার আহবান জানান ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি বিপিএম ।
এসময় “ট্রাফিক আইন ভাঙবো না, জরিমানা দিবো না” “আইন মেনে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি” স্লোগানকে মেনে চলার জন্য চালক ও যাত্রীদের বলা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর রেঞ্জ ডিআইজি সড়ক পরিবহন আইন -২০১৮ সম্পর্কে লিফলেট বিতরণ করেন।
চলতি বছরের ১ নভেম্বর সারাদেশে কার্যকর হয়েছে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮। যা আছে বর্তমান আইনে:-অবহেলায় গাড়ি চালানোতে গুরুতর আহত বা প্রাণহানিতে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড করা হবে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। লেন ভঙ্গ ও হেলমেট ব্যবহার না করলে অনধিক ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের জেল ও ২৫ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ড। নিবন্ধন ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ড। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালালে ছয় মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ড।
প্রচারণা ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আমীর আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা মোটরযান কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা আব্দুল মান্নান, জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশসুপার এস এ নেওয়াজী, ফাল্গুনী, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশসুপার আল আমিন, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল হোসেন, কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সৈয়দ মাহবুবুর রহমানসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকতা এবং বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।