স্টাফ রিপোর্টার: সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামূল হক টিটু’র ব্যাপক প্রচারনা, বিভাগীয় কমিশনারের আধুনিক নগর গড়ার প্রত্যয় ভেস্তে যেতে বসেছে নগরবাসীর সচেতনার অভাবে। আর এই অসেচতনার কারনে নগরবাসীর ভোগান্তি এখন চরমে উঠেছে।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন ঘোষনার পর সিটি’র ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইকরামূল হক টিটু নগরের মোড়ে ব্যানার দিয়ে নির্ধারিত সময়ে ময়লা ফেলার জন্য নগরবাসীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন। মাইকিং করেছিলেন যেন সন্ধ্যার পর ময়লা ফেলা হয়। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সব ধরনের চেষ্টার পরও নগরবাসীর মাঝে নুন্যতম সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে-একথা ভেবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোন কারণ নেই।
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৬ নং ওয়ার্ডের মাদরাসা কোয়াটার এলাকার গোরস্থানের সামনে বাংলাদেশ কৃষিব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয়
সদর দণি ও উত্তরের কার্যালয়। তার বিপরিত দিকে আছে জেলা ও বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়। সামনে আর একটু এগোলে ঐতিহ্যবাহী নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুল। তার লাগোয়া মাদরাসা কোয়াটার রেল ক্রসিং। এই কৃষিব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয় এবং পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সামনে কৃষিব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয় দেয়াল ঘেষে প্রায় ২৫/৩০ফুট সড়কের পাশে এখন বাড়ীঘরের ময়লা আবর্জনার ভাগার।
সুত্র জানায়, কৃষি ব্যাংকের উল্টোদিকের সড়ক সংলগ্ন এলাকা ৬নং ওয়ার্ডের অধীন, আবার কৃষি ব্যাংকের লাগোয়া পূর্ব দিক ১০নং ওয়ার্ডের
অধীন। সড়কের এই পাড় ও ঐপাড় দুই ওয়ার্ডের মধ্যে পড়লেও ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু মাদরাসা কোয়াটার সড়কের পশ্চিম অংশ তার এলাকা বলে জানান। তবে তিনি জানান, সড়কের অপর পাশ তার না হলেও তিনি পূর্বপাড়ের দিকের আবর্জনা পরিস্কার করে থাকেন।
মাদরাসা কোয়াটার রেল ক্রসিং এলাকা থেকে ১০০ গজ দূরে হওয়ায় এখানে সবসময় যানজট লেগে থাকে। যানজট কৃষিব্যাংক আঞ্চলিক অফিস পর্যন্ত লেগে থেকে ইজিবাইক,ছোটবড় যানবাহন ও রিক্সায় চাকায় পিষ্ট হয়ে পুরো এলাকা আবর্জনায় সয়লাব হয়ে যায়। অথচ এর সামনেই আছে মাদরাসা কোয়াটার গোরস্থান।
রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাড়ীঘরের আবর্জনা যানবাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে কৃষিব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রবেশ পথ ও জেলা ওবিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা অফিসের প্রবেশপথ নোংরা আবর্জনা পূর্ন থাকে। নাকে রুমাল দিয়ে গোরস্থান থেকে কৃষিব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয় পর্যন্ত
চলতে হয়। গোরস্থানের পাশেই নাসিরাবাদ স্কুল,একটু আগালেই ময়মনসিংহ জেলা স্কুল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের রাস্তায় বাড়ীঘরের সমস্ত ময়লা আবর্জনা রাস্তায় স্তুপ হয়ে থাকলেও সিটি করপোরেশনের ঘুম ভাঁঙ্গে না। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের কনজারভেটিভ অফিসার মোহাব্বত আলীকে জানালে তিনি দেখবেন বলে জানান। অথচ সকালের ময়লা সন্ধ্যা পর্যন্ত ওখানেই পড়ে থাকতে হয়।
বিভাগীয় শহরের নগর ক্লিন সিটি গড়তে হলে নাগরিকদের যেমন দায়িত্ববোধ আছে,তেমনি সিটি করপোরেশনের ও বিশাল দায়িত্ব আছে।
শুধু অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সিটি’র জনগনকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হলে, কোনদিন বিভাগীয় কমিশনারের আধুনিক নগর ও সিটি মেয়রের ক্লিন সিটি গড়ে উঠবে না। প্রয়োজনে দু-চার জন দায়িত্বহীন নাগরিককে জরিমানা করে হলেও সময়মত বাড়ীর আবর্জনা ফেলা এবং সিটি করপোরেশনের রাতের মধ্যে আবর্জনা পরিস্কার সহ দেখভাল না করলে এ সমস্যার সমাধান হবে না।
কয়েকদিন পূর্বে সিটি মেয়র বলেছিলেন,কোন প্রতিষ্ঠানের সামনে আবর্জনা ফেলা হলে,সেই প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনে জরিমানা করা হবে। তাহলে কি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আঞ্চলিক কার্যালয় ও পরিবার পরিকল্পনা জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়কে এই আবর্জনার জন্য জরিমানা করে দায় সারা হবে?