একটি সরেজমিন প্রতিবেদন ঃ- বকশিগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতা খোকার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাঃ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ

Date:

Share post:

 

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিলক্ষিয়াতে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন সাইফুল ইসলাম খোকা। জামালপুরের বকশিগঞ্জের নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে যদি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা না থাকে তবে সেখানে জয়বাংলা উচ্চারণ করার মতো লোক পাওয়া যাবে না। কেননা সেখানে ৬০% মানুষই স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষ । আর সেখান থেকে ষড়যন্ত্র করে খোকাকে সরাতে পারলেই তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। ঠিক এমনটিই বলছিলেন বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়।

তাই খোকাকে সরানোর লক্ষ্যেই নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে মিয়াবাড়ী মসজিদকে কেন্দ্র করে গত ১৩ আগষ্ট আনুমানিক রাত ৯.০০ টায় খোকার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায় একই গ্রামের মৃত মজিবুর রহমান এর ছেলে হামিদুর রহমান তারেক। একপর্যায়ে হাতাহাতি থেকে তা মারামারিতে রুপ নেয়। মিয়াবাড়ির লোকজন সবাই একসাথে হামলা করলে তাদের হাত থেকে বাঁচতেই খোকা বকশিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে জানতে পেরে গত ১৪ আগষ্ট মঙ্গলবার ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম (খোকা’র) বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা’র স্ত্রী রৌনুর জাহান আলো’র এক হাত ভেঙে দেয়া, ক্রিকেটের অনুর্দ্ধ ১৬ দলে খেলা তাঁর ছেলের কষ্টে অর্জিত সাফল্যের সম্মাননা স্মারকসহ টয়লেটের দরজা,গোসলখানার বালতি, চেয়ার, ঘরবাড়ি ভাংচুর ও হামলা করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে একই এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র ও হামিদুর রহমান তারেকের ভাই হাবিবুর রহমান ওয়াকারের নেতৃত্বে তার লোকজন।

পরে আ,লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা নিরুপায় হয়ে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম মাহবুব আলম কে ফোন করেন। ঘটনাস্থলে ওসি মাহবুব সভাপতি খোকাকে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলে থানায় এনে আটক করেন। পরে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ মৃত মজিবর রহমানের পুত্র হাবিবুর রহমান ওয়াকার’কে বাদী করে একজন সম্মানীয় মাননীয় বিচারপতির বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ এনে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন,২০১৮ এর ৪/৫ মতে মামলা করা হয়। যার মামলা নং ০৮,তাং ১৪/০৮/২০১৯।

নিরাপত্তার চাদর গায়ে দেওয়ার কথা বলে থানায় এনে অনিরাপত্তার জালে ফাঁসিয়ে আ,লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম (খোকা)কে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় ফাঁসিয়ে আদালতে প্রেরন করেন বকশিগঞ্জ ওসি। এ ব্যাপারে বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় থানায় গিয়ে ওসি মাহবুবের সাথে দেখা করলে ওসি বলেন, খোকাকে গ্রেফতার না করলে তাঁর চাকুরী থাকবে না। উপর থেকে ফোন এসেছে। আমার চাকুরী বাঁচানোর জন্য খোকাকে গ্রেফতার দেখাতেই হবে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান বকশিগঞ্জ থানার এসআই শরিফ আহম্মেদ। দায়িত্বে অবহেলা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য ওসি মাহাবুব আলম’কে প্রত্যাহার করা হয় জামালপুর পুলিশ লাইনে। ০৭ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক চার্জশীট দাখিলের কথা থাকলেও ব্যর্থ হয়ে আদালতে আবেদনের মাধ্যমে আরো ০৭ দিন সময় সহ মোট ১৪ দিন সময় নেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফ আহম্মেদ।

চার্জশীটে (অভিযোগ পত্র নং ১৯৩,তাং ০১/০৯/২০১৯) উল্লেখ করা হয় বিচারপতি মীর্জা হোসেনের বাড়ীতে হামলা করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করেন সাইফুল ইসলাম (খোকা) এবং খোকার নামে বিধবাভাতা, বয়ষ্ক ভাতার টাকা নেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে যা সরেজমিনে গিয়ে মিথ্যা বলে জানা যায়।

সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়, নিলক্ষিয়া এলাকায় মাননীয় বিচারপতি এর বাড়ি এটা নয় । তবে তাঁর আত্মীয় স্বজন এর বাড়ি আছে যারা দুঃসম্পর্কের। তাঁরা মাননীয় বিচারপতির পরিচয়েই অই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে থাকে। ঘটনার দিন খোকার বাড়িতে হামলা করা হয়। কিন্তু উল্টো মামলা করে মাননীয় বিচারপতির নাম ব্যবহার করা হয়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, মাননীয় বিচারপতি জমিদার পরিবারের সন্তান। নিলক্ষিয়াতে মাননীয় বিচারপতি এলাকার মানুষের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন সামাজিকমূলক কাজ করে থাকেন।

বিচারপতির বসত বাড়ী এবং তার আত্বীয়ের বাড়ী ভাংচুরের বিষয়ে নিলক্ষিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সাত্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার জানামতে এই নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে মাননীয় বিচারপতির নামে নিজস্ব কোন বাড়ীই নেই, তাহলে বিচারপতির বাড়ি ভাংচুর হয় কেমনে? হ্যাঁ, তবে মাননীয় বিচারপতির দুঃসম্পর্কের আত্মীয় হাবিবুর রহমান ওয়াকার এর নেতৃত্বে একজন সম্মানীয় ব্যক্তি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকার বাড়িতে হামলা করা হয়েছে এবং ভাঙচুরসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। আর উল্টো মামলায় মাননীয় বিচারপতির নাম ব্যবহার করেছে তারা। এটা দুঃখজনক। আর বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এসব কার্ড দেয়ার কোন এখতিয়ার নেই খোকার। এগুলো সব ইউনিয়ন পরিষদের কাজ। যা দেয়া হয় সব আমার এবং অন্যান্যদের মাধ্যমে দেয়া হয়। পুলিশের চার্জশিটে বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড দেয়ার নামে খোকার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা। সাইফুল ইসলাম খোকা একজন সামাজিক মানুষ। হাবিবুর রহমান ওয়াকার এর এজাহারে উল্লেখিত সন্ত্রাস বাহিনী নিয়ে হামলা করে খোকা, কিন্তু খোকা সামাজিক মানুষ হওয়ার কারণে তার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। এসব মিথ্যা উল্লেখ করে খোকাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদককে বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াসমীন স্মৃতি জানান, আমার জানামতে মাননীয় বিচারপতি মহোদয়ের নিজস্ব বসত ভিটা নেই, তবে তার ৫০/৬০ বছর আগের কিছু বংশধর রয়েছেন, তারা মাননীয় বিচারপতির নামে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। মাননীয় বিচারপতির জামালপুরের নিজস্ব বাড়ি আছে। তিনি ছুটিতে আসলে জামালপুরের বাড়িতেই অবস্থান করেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফ আহম্মেদের স্বাক্ষীদের মতামত অনুযায়ী চার্জশীটে উল্লেখিত আ’লীগ সভাপতি খোকা টিআর, কাবিখা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা কার্ড ব্যবসার সাথে জড়িত এমন প্রশ্নের জবাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এই সব কাজতো ইউপি চেয়ারম্যান, সমাজ সেবা অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতির কোন কাজ নেই। তাই এসবের অভিযোগের ভিত্তি নেই। আসলে এই সব মিথ্যা অভিযোগ এনে আ’লীগ সভাপতি খোকাকে ফাঁসানো হয়েছে। এছাড়া খোকা সাহেবের স্ত্রীর হাতও ওরা ভেঙে দিয়েছে। সেই সাথে খোকার ছেলে ক্রিকেটের একজন ভালো খেলোয়াড়। তার অর্জিত সাফল্যের সম্মাননা স্মারকগুলোও ওরা ভেঙে দিয়েছে।

নিলক্ষিয়া আ’লীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম (খোকা)কে একজন সম্মানীয় মাননীয় বিচারপতির দোহায় দিয়ে কেন ফাঁসানো হলো এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশটাকে ধ্বংশলীলায় পরিনত করতে চেয়েছিলো, এই সব অপশক্তির করা মিথ্যা মামলায় সাইফুল ইসলাম খোকাকে ফাঁসানো হয়েছে। মাননীয় বিচারপতির দুঃসম্পর্কের আত্মীয়রা সেখানে থাকেন। তারা উনার নাম ব্যবহার করেই খোকাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। উল্টো চিত্র হলো খোকার বাড়িতে হামলা করে তাঁর অনেক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর হাত ভেঙে দিয়েছে। বিচারপতির পরিচয়ে কোন এক ভুয়া ফোনে বকশিগঞ্জ থানার ওসি একে এম মাহাবুব অতি উৎসাহিত হয়ে ইউনিয়ন সভাপতিকে ফাঁসিয়েছেন। নিলক্ষিয়া মিয়াবাড়ী এলাকায় খোকাকে স্তব্দ করতে পারলেই সকল অপশক্তির জয় হবে, তাই ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র।
পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয় বলেন, আমাদের উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বাহিরে আছেন, তিনি আসলেই আমরা আমাদের দলের প্রধান, দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে যাবো এবং সব অপশক্তি বিনষ্ট করে আমাদের খোকাকে মিথ্যা যড়যন্ত্র থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাবো।

উক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ভাংচুরের সময় ওয়াকারের দল হুমকি দিয়ে বলে, আওয়ামী লীগকে দিয়েই আওয়ামী লীগকে শায়েস্তা করাবো। ১৫ আগষ্ট পালন করবি! বঙ্গবন্ধুর শোক পালন করবি জেলে বসেই। ব্যবস্থা করছি।

বকশিগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মাহাবুব আলমের সাথে ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা বিচারপতি মীর্জা হোসেনের সাথে কথা বলেন তাহলেই সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, মাননীয় বিচারপতি উক্ত সময়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তবে মাননীয় বিচারপতির নাম ব্যবহার করে কে বা কারা ওসিকে কল দিয়ে মামলা নিতে বলেছিলেন এ প্রশ্ন রহস্যেই থেকে যায়!

স্থানীয় আ’লীগ সভাপতি খোকার বসত-বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর এবং খোকার স্ত্রী রৌশনারাকে বেধরক পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেওয়া বিচারপতির আত্বীয় পরিচয়দানকারী হাবিবুর রহমান ওয়াকারের বিরুদ্ধে খোকা নিজে বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ঘটনার রাতে সে বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি মাহাবুব খোকার অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।

এক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতি অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী পরিবার জানান, এস আই মোঃ শরিফ আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা উল্লেখ করেই চার্জশিট দেয়ার কথা বলে এ পরিবারের কাছ থেকে নগদ ৩০,০০০/-( ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়েছেন এবং আরো ১ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে বলেছেন,এতো বছর ধরে খোকা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকলেও থানায় কোন টাকা দেননি। তাই মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে টাকাটা দিতে হবে।

নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে যে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত সেই কমিটির সভাপতি পদ থেকে আনুমানিক ৫-৬ মাস আগেই অব্যাহতি নিয়েছিলেন সাইফুল ইসলাম খোকা। তবে কয়েক মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেন হাবিবুর রহমান ওয়াকার হামলা চালালো সভাপতির বাড়িতে! সভাপতি খোকার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করে উল্টো সভাপতির নামেই মাননীয় বিচারপতির বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলো, কেনই বা তিলকে তাল করা হলো এ বিষয়টি সাধারণ মানুষের বোধগম্য নয়। তবে এলাকায় গুঞ্জনে শোনা যায়, আগামী নির্বাচনে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির প্রস্তুতিপর্বও এটি হতে পারে।

এলাকাবাসী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, ওয়াকার বলসে আমাগোরে, খোকার পক্ষে স্বাক্ষী দিলে আমাগো বাড়িতেও ভাংচুর করে মিথ্যা মামলা দেয়াবে। তাই আমরা চুপচাপ থাকি। বলসে তোমাগো সভাপতিরে যদি মিথ্যা মামলায় জেল খাটাইতে পারি, তাইলে তোমাগো কি অবস্থা হইবে!

এডভান্স টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলাল জানান, সাইফুল ইসলাম খোকা ভালো মানুষ। তাঁর নামে নিলক্ষিয়াতে খারাপ কোন অভিযোগ নেই। ঘটনার দিন আমি উপস্থিত ছিলাম না। শেরপুরে ছিলাম। শুনেছি মাননীয় বিচারপতির আত্মীয়ের বাড়িতে ভাংচুরের জন্য খোকাকে পুলিশ এরেষ্ট করেছে। তবে ভাংচুর করার মতো মানুষ উনি নন।

এ ব্যাপারে নির্বাচিত সাংসদ আবুল কালাম আজাদ এমপি’ র সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে গেলে তাঁকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া বকশিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে গেলে ব্যস্ততার কারণে তিনি সময় দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে উক্ত মামলার বাদী হাবিবুর রহমান ওয়াকার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মতামত দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

এদিকে জেলখানায় অবস্থানরত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকার স্ত্রীর তাঁর জামিনের ব্যাপারে উকিলের দ্বারস্থ হয়েছেন। পর পর কয়েকবার শুনানির পরও জামিন নাকোচ হয়েছে এবং শুনানির তারিখ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে খোকার আইনজীবী আমানউল্লাহ আকাশের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি এর কথা শুনেই সবাই হকচকিয়ে যাচ্ছেন। যদিও আমরা বলেছি মাননীয় বিচারপতির বাড়ি সেটা নয়, উনার দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বাসা। তবুও জামিনে সময় নেয়া হচ্ছে। আগামী ৩১ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি শিক্ষাজীবনে কয়েকবারই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি দ্বারা তিনি কয়েকবারই হামলার শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু তবুও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে তিনি সরে আসেন নি। তিনি সামাজিক উন্নয়নে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গত ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ইউনিয়ন পর্যায়ে সফল সরকারের সকল সেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন।
আমার স্বামীকে আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করার জন্য আমার বাড়িতেই হামলা চালিয়ে আমার স্বামীর নামেই মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। যেখানে মাননীয় বিচারপতির নাম ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ মাননীয় বিচারপতি মহোদয়ের সাথে আমাদের কোন পূর্বশত্রুতা নেই। উনার বড় ভাই মরহুম আলহাজ্ব ডা.মির্জা আলী হায়দার আমাদের স্কুলের (নিলাক্ষিয়া আলহাজ্ব আব্দুস সালাম নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়) গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন।
পরবর্তী তাদের পদক্ষেপ কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদী হাবিবুর রহমান ওয়াকার লোক মারফত আমাদের সাথে শর্তানুযায়ী আপোষ মিমাংসা করতে চাচ্ছেন। শর্তে তাঁরা মৌখিকভাবে বলছেন, খোকাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানো এবং নগদ ৫০-৬০ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য। কিন্তু খোকা অন্যায়ের সাথে আপোষ করতে রাজী নয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কে বিকিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে ছেড়ে দিতে রাজি নয়। সেই সাথে এতোগুলো টাকা দেয়া আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক কষ্ট করে গাছ লাগিয়ে তা থেকে ফল বিক্রি করে,ছোট খাটো একটি হাইস্কুল খেয়ে না খেয়ে পরিচালনা করছি। অবৈধ উপায়ে আমাদের কোন উপার্জন নেই। আমি একজন নওমুসলিম। খোকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মিথ্যা মামলায় তাঁকে জড়িয়ে হাজতবাসে রাখার ফলে স্কুলের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সামনে শিশুদের পরীক্ষা। এতে করে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকার স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে জানান, মহিয়সী নারী,মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই তাঁর একজন সৎ এবং কর্মঠ আওয়ামী লীগের কর্মীকে এভাবে মিথ্যা মামলায় জেল খাটতে দেখতে পাবেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র পাদস্পর্শ করে আমার অনুরোধ, আমার স্বামীকে জেল থেকে মুক্ত করার জন্য ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একজন প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর সৈনিককে বাঁচাতে পারছি না। তিনি যেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিককে মিথ্যা ঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করেন। আমার ২ টি সন্তানের পিতাকে তাঁদের কাছে ফিরিয়ে দেন। আমার স্কুলটিকে রক্ষা করুন নইলে এ মিথ্যা মামলায় পড়ে আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি আমার দুটি সন্তানের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে, এ থেকে আমাদের রক্ষা করুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

Related articles

সড়ক দূর্ঘটনায় পূর্বধলার মেধাবী ছাত্র তানভীর নিহত

পূর্বধলা প্রতিনিধিঃ স্বপ্ন দেখতেন একদিন অনেক বড় হবেন। বাবা-মা দেশের মুখ উজ্জ্বল করবেন। ছিলেন প্রচণ্ড পরিশ্রমী...

পূর্বধলায় যৌথ অভিযানে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার, আটক ৫

শিমুল শাখাওয়াতঃ নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জালশুকা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ম্যাগজিনসহ একটি নাইন এমএম পিস্তল উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর...

পূর্বধলায় মাছ ধরা কে কেন্দ্র করে নিহত ১

মোঃ শাখাওয়াত হোসেন শিমুলঃ নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মেঘশিমুল পশ্চিমপাড়া গ্রামে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত...

পূর্বধলায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত

মোঃ শাখাওয়াত হোসেন শিমুলঃনেত্রকোনার পূর্বধলা সার্বজনীন পূজা মন্দির এর উদ্যোগে সোমবার পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা ও আলোচনা...