স্টাফ রিপোর্টার ঃ গত ৮ অক্টোবর বিকেল আনুমানিক ৫.১০ মিনিটে বোরখা পরিহিত ২ জন মহিলা যাত্রীবেশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় থেকে ২৫০/-টাকায় আপডাউন অটোরিজার্ভ করে ভাটিকাশর বড়বাড়ি মসজিদ পর্যন্ত।
ভাটিকাশর বড়বাড়ি মসজিদ পর্যন্ত গেলে ১ জন মহিলা অটোচালককে নিয়ে জিনিসপত্র বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি নির্মানাধীন ভবনের ৩য় তলায় উঠে। মহিলাটির দেরি হবে বলে মহিলাটি ভাড়া চুকিয়ে দিলে অটোচালক নিচে নেমে দেখে অটোতে থাকা অন্য আরেকজন মহিলা ও অটো সেখানে নেই। এদিক ওদিক খোজাখুজির পর অটোচালক দেখতে পায় তাকে নিয়ে যে মহিলাটি ৩য় তলায় উঠেছিল
সেই মহিলাটি নিচে নেমে দৌড়ে পালাচ্ছে।
অটোচালক এলাকাবাসীর সহায়তায় মহিলাটিকে পাকড়াও করে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে পুলিশ ওই মহিলাটিকে থানায় নিয়ে আসে।
পরের দিন অর্থাৎ ৯ অক্টোবর সকালে উক্ত ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করে। এরপর বলাশপুরের সেকবর আলীর ছেলে মোঃ সাহেদ আলী বাদী হয়ে কালীবাড়ির জনি মিয়ার স্ত্রী নিপা আক্তার ও অজ্ঞাতনামা মহিলাসহ সংঘবদ্ধ চক্রকে আসামী করে ৩৭৯ পেনাল কোড ১৮৬০ অটোবাইক চুরি করার অপরাধে মামলা রুজু করে। যাহার নং ০৮, তাং – ০৯/১০/২০১৯। এর তদন্তকারী অফিসার হিসেবে কোতোয়ালি থানার এস আই মোঃ আবু বক্কর ছিদ্দিক কে দায়িত্ব দেয়া হয়।
অইদিনই পুলিশ আসামীকে আদালতে প্রেরন করে। এর পর পুলিশ তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জেলগেটে একদিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুমতি দেয় পুলিশকে। কিন্তু উক্ত জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পুলিশ আসামীর কাছ থেকে কোন তথ্যই বের করতে পারেনি। আসামী জামিনে যাওয়ার চেষ্টায় আছে এবং জেলখানায় থেকেই আসামী অটোচালককে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে।
গরীব এই অটোচালকের ৪ জনের সংসারে উপার্জন করার একমাত্র মাধ্যম ছিল অটো। এলাকাবাসীর দেয়া যাকাত ও ফেতরার টাকা এবং বিভিন্ন সমিতি থেকে লোন করা টাকা দিয়ে অটোটি কিনে সাহেদ। এই অটো দিয়েই তার পরিবারের যাবতীয় খরচ নির্বাহ করতো। অটোটি চুরি যাওয়ার পর থেকে সাহেদের উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন সমিতির লোকজন সপ্তাহের কিস্তির টাকার জন্য সাহেদের বাড়িতে ভিড় করছে। এতে করে সাহেদ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
হাতেনাতে ধরার পরও নিপা নামের মহিলাটিকে জিজ্ঞাসাবাদে কোন তথ্য বের করে আনতে না পারাই পুলিশের ব্যর্থতা বলে মনে করেছেন এলাকাবাসী। নিপা নামের এই মহিলাটিকে আবারো রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সংঘবদ্ধ এই মহিলা অটোচোরদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারবে পুলিশ এবং গরীব সাহেদের অটোটি উদ্ধার হলে ঋণগ্রস্থ সাহেদ ও সাহেদের পরিবার ঋণমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।