নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় পৃথক স্থানে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার ঘটনায় নারী-পুরুষ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে এক কৃষককে হত্যার চেষ্টায় তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে পা ভাঙাসহ পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাতেই মমেকে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ও রাতে উপজেলার বারহাট্টা ও আসমা, পৃথক ইউনিয়নগুলোতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষের হত্যার চেষ্টায় পায়ের রগ কাটার শিকার হলেন- কৃষক উসমান গণি (৪৯)। তিনি আসমা ইউনিয়নের গোড়ল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
আহতের ছোটভাই ইনছান গণি ও মো. আব্দুল্লাহ্ জানান, গ্রামের বাজারে পাটকাঠি বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন উসমান।
পথের মধ্যে দেওপুর ঈদগাহ্ মাঠের কাছে পৌঁছলে আগ থেকে জঙ্গলে উৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ অলি মিয়া (৩০), সাইফুল ইসলাম (৪০), তরিকুল ইসলাম (৩৫), হাবিব মিয়া, দিপু মিয়া (৩৫), শফিক মিয়া প্রত্যেকে উসমানের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
হত্যার চেষ্টায় তাকে অতর্কিত হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম, পিটিয়ে পা ভাঙাসহ ধারালে অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয় তারা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোনোরকম প্রাণে রক্ষা পেলে উসমানকে পর্যায়ক্রমে বারহাট্টা, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া হয়।
অপরদিকে সল্প-দশাল গ্রামে পৃথক ঘটনায় ছোট ভাই বাবুল মিয়া ও ভাতিজা মোশারফ হোসেনের হামলায় বড়ভাই আলতু মিয়াসহ (৬৫) তার তিন ছেলে-মেয়ে আহত হন।
আহতরা হলেন- আল-আমিন (৩২), শাকিল মিয়া (১৮) ও নাদিরা আক্তার (২০)। তাদেরকে
বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, প্রতিপক্ষ বাবুল ও মোশারফ বাপ-ছেলে মিলে আলতুর জায়গা-জমি দখল করে উচ্ছেদ করতে পায়তারা করছে।
এরই লক্ষ্যে তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অত্যাচার করে চলছে প্রতিনিয়ত। শুক্রবার রাতেও তারই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অভিযুক্তরা আলতুর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় ভুক্তভোগীর ঘর থেকে নগদ ৫০ হাজার টাতাসহ স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।
এসব বিষয়ে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, প্রতিটি ঘটনার বিষয়েই থানায় মামলা পক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।