লালমোহাম্মদ নালিতাবাড়ী(শেরপুর) প্রতিনিধি:
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে আর্ন্তজাতিক ও বন বিভাগের সীমা রেখার তোয়াক্কা না করে সরকারের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে অর্ধশত করাত কল অবাধে চলছে।
বনবিভাগ সুত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলা ভারতের সীমান্তবর্তী একটি পাহাড়ি জনপদ। এ অঞ্চলে হাজার হাজার একর বন ভূমি অংশীদার ভিত্তিতে চাষ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ । এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সরকারী বিধি মালা উপেৰা করে অবৈধ ভাবে স্থাপন করেছেন করাতকল। আর্ন্তজাতিক সীমা রেখার ৫ কিলোমিটার ও বন ভূমির ১০ কিলোমিটারের মধ্যে এসব করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ থাকলেও প্রায় ১৭টি করাতকল এর মধ্যে পড়েছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে মোট ৬১টি করাতকলের মধ্যে ৯ টির লাইসেন্স রয়েছে। ৩টি আবেদন করেছে। বাকীগুলো লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে চলছে।
বন বিভাগের অভ্যন্তরে কাকরকান্দি ইউনিয়নে অবস্থিত করাতকল মালিক ফজলুল হক বলেন, তিনি ৪ বছর ধরে ভাড়া নিয়ে সমিতিতে ২ হাজার টাকা জমা দিয়ে করাতল চালাচ্ছেন। কোন কাগজপত্র তিনি দেখাতে পারেননি। একই এলাকায় অবস্থিত ইকবাল আলম(৪২) জানান, তিনি শুধু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এক বছর ধরে করাতকল চালাচ্ছেন। শালমারা বাজারের অজেদ আলী(৩৪) বলেন, করাতকল মালিক সমিতিতে তিনি কয়েক দফা টাকা দিয়ে ২০১৬ সাল থেকে ব্যবসা করে আসছেন। তিনি শ্রমিক হিসেবে যোগদানের একটি কাগজ ও একটি ট্রেড লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। একই বাজারে করাতকল মালিক মফিজুল ইসলাম(৩৬) সমিতির জনৈক ব্যক্তির কাছে এক হাজার ৫শ’ টাকা জমা দিয়ে ব্যবসা করছেন বলে জানান।
করাত কল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব করাতকল সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন করাত কল মালিক সমিতি । মূলতঃ মালিক সমিতির সভাপতি মের্সাস খাজা স মিলের মালিক চাঁনমিয়া স্থাপন ও লাইসেন্স বা অনুমোদনে সহায়তা করে থাকেন । বর্তমান সভাপতি হাবিুর রহমান দিপুর নামও উঠে আসছে ।
এ ব্যাপারে করাতকল মালিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান দিপুর সাথে কথাা বলে জানা গেছে, শ্রম বিভাগের ছাড়পত্রের জন্য সমিতির সাধারন সম্পাদক প্রত্যেকের কাছ থেকে এককালীন কিছু টাকা ওঠিয়েছিল এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের একটি কাগজ দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, এসব করাতকলের বিরুদ্ধে দ্র্বত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা একেএম রহুল আমীন জানান, এসব করাতকলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। ইতোপূর্বে তিনটি করাত কল উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।