পূর্বধলা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার টিকুরিয়া আদর্শ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয় ১৯৯৯ সালে।
বিদ্যালয়টি ২০১০ সালের মে মাসে সরকারী তালিকা( এম পি ও)ভূক্ত হয়। ৬জন শিক্ষক ২জন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম যথাক্রমে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চালু আছে অদ্যবধি পর্যন্ত। কিন্তুু অতীব দুঃখের বিষয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিউর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল বারীর যোগ সাজসে সরকারী নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অত্যন্ত সু – কৌশলে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক মোঃ সমাজ খানের অজ্ঞাত সারে। জানা যায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মতিউর রহমান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উপজেলার নারায়নডহর(কৃষ্টপুর) গ্রামের মোঃ তারা উদ্দিন ফকিরের ছেলে মোঃ নুরুল আমিন ফকির কে দিয়ে সমাজবিজ্ঞানের আবেদন করায় এবং সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক সমাজ খানকে কম্পিউটার শিক্ষক হিসাবে দেখায়।এবং প্রধান শিক্ষকের সই স্বাক্ষর সংবলিত পূর্বের ষ্ট্যাপিং প্যাটর্ন পরিবর্তন করে নতুন ষ্ট্যাপিং প্যার্টনে নুরুল আমিন ফকির ও মোজাম্মেল হককে অন্তর্ভূক্তি করে নুরুল আমিন ফকিরের জন্য অনলাইনে নতুন বিলের আবেদন করে। যাহা সরকারী বিধি লংঘন করে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শফিকুল বারী ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বলেন, কে বা কাহারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাহা আমাদের জানা নাই কোন একটি চক্র হয়তোবা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, এ দিকে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক সমাজ খান বলেন ১০-২-২০০৩ সাল থেকে আমি টিকুরিয়া আদর্শ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হই এবং ১-৫-২০১০ সালে আমি (এম পি ও) ভূক্ত হয়ে সরকারী বেতন ভাতাদি উত্তোলন করিতেছি আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে আমার সহকর্মী ও ছাত্র ছাত্রীদের সাথে পড়ালেখা এবং আচার আচরনেের দিক থেকে সহানুভূতিশীল, এ হেন অনৈতিক কাজের জন্য আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অবশ্যই দায়ী। উল্ল্যেখ থাকে যে মোঃ মতিউর রহমান স্কুলের শিক্ষক কর্মচারী ও অভিবাবক থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে আচার আচরনে সহানুভূতিশীল নন।স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ সংক্রান্ত মূল সনদ যাবতীয় কাগজ পত্রাদি, নিজ স্কুলের গুরুত্বপুর্ন দলিলাদি সহ কাজের কথা বলে দীর্ঘ দিন ধরে নিজ হেফাজতে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। উপরোক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপরে উল্ল্যেখিত বিষয়াদি যথাযথ ভাবে তদন্ত সাপেক্ষে দোষি ব্যাক্তিদের বিচারের আওতায় এনে আশু ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য উর্দ্বত্বন কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।