পরশ মির্জাঃ দ্রোহের কবি, বিদ্রোহের কবি, সংগ্রামের কবি, জাগরনের কবি, মানবতার কবি, অামাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর লেখনির মাধ্যমে ঝড় তুলেছিলেন সত্যন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, অধিকারের জন্য, স্বাধীনতার জন্য। শোষণের শিকল ছিঁড়ে ফেলার জন্য। অত্যাচারীর প্রকোষ্ট ভেঙ্গে ফেলার জন্য। মানবিক সাম্যের সমাজ গড়ার জন্য। কারণ, তিনি চেয়েছিলেন মানুষের মুক্তি, সমাজের মুক্তি। অার এই মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য বারবার অাহবান জানিয়েছেন তরুন সমাজকে। জেগে উঠার উদাত্ত অাহবান জানিয়েছেন। তিনি সে সংগ্রামে তেজোদিপ্ত তরুনদের সাথী করতে চেয়েছেন। তরুনদের প্রতি অাহবান জানিয়ে অাওয়াজ তুলেন:
“চল্ চল্ চল্।
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী-তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ-দল
চলরে চলরে চল্ ।”
বিদ্রোহী নজরুল দ্রোহের বাণী শুনিয়েছেন তরুনদের:
“কারার ঐ লৌহ কপাট
ভেঙ্গে ফেল কররে লোপাট
রক্ত জমাট শিকল পূঁজার পাষানবেদী।
ওরে ও তরুন ঈশান বাজা তোর প্রলয় বিষান
ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীরভেদী।”
প্রশ্ন হলো কবি কাজী নজরুল ইসলাম তরুনদের প্রতি এই অাহবান জানালেন কেন? কারণ, তরুনরা হচ্ছে যে কোন জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারী। তরুনরা তেজোদিপ্ত তারুন্যদীপ্ত। তরুনরাই পারে তেজোদিপ্ত তারুন্যদীপ্ত চিন্তাচেতনায় বলিয়ান হয়ে অন্যায়, অবিচার, অত্যাচার, অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে রাঙাপ্রভাত অানতে, অানতে নতুন সূর্য নতুন পৃথিবী। তরুনরা পারে অশুভ শক্তির রক্ত চুক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্যের পানে এগিয়ে যেতে। ইতিহাস তাই সাক্ষ্য দেয়।
তাই হে তরুন, হে তারুন্য, সকল অন্যায় হতে দূরে থেকে, শুভ বিবেকী চিন্তাচেতনা লালন করে, চিন্তাচেতনাকে বিকশিত করে তোমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে সম্মুখপানে। সুন্দর জীবনের জন্য। সুন্দর সমাজের জন্য। সুন্দর অাগামীর জন্য। তাহলেই অন্ধকার ভেদ করে বাংলার অাকাশে উদিত হবে নতুন সূর্য। অাসবে নতুন দিন।