ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে র্যাবের অভিযানে আলোচিত চাঞ্চল্যকর ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী শান্তনা গণধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামী মোঃ রুহুল আমিন (২২) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ২ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে সিপিসি-২, র্যাব-৬ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রামনগর গ্রামের থেকে গণধর্ষন মামলার অন্যতম আসামী মোঃ রুহল আমিন (২২) কে তার মামা শিমুল মিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ রুহল আমিন ঝিনাইদহ জেলার খাজুরা গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে।
উল্লেখ গত ১২ আগষ্ট (ঈদ-উল-আজহার দিন) ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর মুক্তিযোদ্ধা মসিউর রহমান মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী সান্তনা গণধর্ষণের শিকার হয়। একই এলাকার তিন বখাটে যুবক বাদশা, মুন্নু ও রহুল আমিন। মেয়েটি ঈদের দিন বিকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঠে মাকে ডাকতে যায় ও তাদের গরু আনতে যাই। এ সময় একই খাজুরা গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে বাদশা, মন্টু মন্ডলের ছেলে রহুল আমীন ও জাফরের ছেলে মুন্নু তার মেয়েকে মাঠ থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করার পর ক্যাডেট কলেজের সামনের একটি আবাসন এলাকায় ফেলে যায়। পরে ভূমিহীন পাড়ার এক ব্যাক্তি ধর্ষিতাকে বাড়ি পৌছে দেয়। বাড়ি এসে মেয়েটি সব খুলে বলে। মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর মেয়ের পিতা বাদি হয়ে পরদিন তিনজনকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। পুলিশ মুন্নু হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি দুই আসামী রহুল আমিন ও বাদশা পলাতক ছিল।