স্টাফ রিপোর্টার ঃ মেধাবী ছাত্র শাকিল হত্যা মামলার আসামীরা পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আসামীরা প্রভাবশালী বলেই প্রতিনিয়ত নিহত শাকিলের পরিবারকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্র শাহরিয়া ইসলাম শাকিলের হত্যার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার ও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গতকাল নিহত শাকিলের পরিবার এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহতের পরিবার জানান, গত ২৫ জুন ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে ড্রেস পরিহিত অবস্থায় বাসায় ফেরার পথে কয়েকজন যুবক রাস্তা থেকে ডেকে নিয়ে হাদিকুল আলম হাদির বাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে আঘাত করে। এরপর তাকে মেডিকেল নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রেফার্ড করা হয়। গত ২৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিল মারা যায়।
গত ২৭ জুন শাকিলের লাশ ময়মনসিংহের নিজ বাসায় আসলে এলাকাবাসী শাকিলের লাশ কাঁধে নিয়ে হত্যার বিচার চেয়ে মিছিল করে। এরপর শাকিলের বাবা কোতোয়ালি থানায় ৩ জনের নামে মামলা দিতে গেলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন জনের নামে মামলা দিলে মামলার মেরিট নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বললে ১ নং আসামী তানভীর রহমান রিমন,২ নং আসামী আল হাফিজিল মোয়িন বাদন এই ২ জনকে আসামী করে মামলা দেন। কোতোয়ালি থানার মামলা নং ১১৬, ২৮/০৬/২০১৯। পুলিশ শাকিল হত্যার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেন।
পরবর্তীতে আদালতে শরণাপন্ন হয়ে গত ১১ জুলাই কোতোয়ালি ৭২৫/১৯ নং দরখাস্ত দাখিল করলে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আসামী হাদিকুল আলম হাদিকে সংযুক্ত করে মামলার তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন। মামলার ১ নং আসামী তানভীর রহমান রিমন আদালতে শাকিলের হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী দিয়েছে এবং এর সাথে কারা জড়িত তাদের নাম বলেছে।
বাকি আসামীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের তেমন কোন অগ্রগতি হচ্ছে না। তাই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সহ এলাকাবাসী ও তার পরিবার মানব বন্ধনসহ বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনে স্মারক লিপি পেশ করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে মামলার অন্য আসামীরা শাকিলের পরিবারকে মামলার মিমাংসা ও আপোষ করার জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। শাকিলের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিহত শাকিলের পরিবারের দাবি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার একমাত্র সন্তানের হত্যার বিচার করা হোক। এসময় নিহতের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত শাকিল এর পিতা নজরুল ইসলাম, শাকিলের মা রমিছা ও শাকিলের দুই বোন।