পূর্বময় ডেস্ক ঃ গ্রামের রাস্তায় মৃতের মত কাউকে পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের কৃষক সন্তোষ ও হালিম গ্রামবাসীকে জানায়। প্রগতিশীল যুবক সন্তোষ ও হালিম মড়ার শেষ কৃত্য করার জন্য ব্যবস্থা করে কিন্তু তাতে বাধ সাধে মুসলমান সমাজের প্রতিনিধি হায়দার আর হিন্দু প্রতিনিধি বৃন্দাবন। মড়া কে পোড়াবে না কবর দিবে এই নিয়ে হিন্দু -মুসলিম দাঙ্গা র উপক্রম হয়। গ্রামের বাউল পরাণ এসে হাজির হয়। সে জানায় এটা সেই পাগল যে তার গানের সাথে ধেই ধেই করে নাচতো। কিন্ত তার বাড়ি বা জাত কখনো জিজ্ঞেস করেনি। উপায় না দেখে থানা পুলিশে লাশ সমর্পনের প্রস্তুতি নেয়। গ্রামে পুলিশ আসা অমঙ্গলকর। তাই পুলিশ আনা যাবেনা। গ্রামের পুরোত ও সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। নিশ্চিত দাঙ্গা লাগবে তখন পাগলটা লম্বা ঘুম শেষে জেগে উঠে। থুতু ছিটায় দুই কুটিল মোড়লের গায়ে। এমনই জাতের নামে ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট নিয়ে সমাজে বিদ্যমান সংঘাতময় অবস্থা চিত্রায়িত হয়েছে এই নাটকে।
সত্যি ঘটনা না জেনেই কিছু অসাধু ব্যক্তি তাদের ব্যক্তিগত ক্ষমতা জাহির করার জন্যই ধর্মকে নিয়ে হানাহানি সৃষ্টি করে, এ বিষয়ে সচেতন থাকা এবং মানুষকে ধর্ম দিয়ে নয় মানুষ হিসেবে গুরুত্ব দেয়ার মনমানসিকতা গড়ে তোলার জন্যই এই নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।
অনসাম্বল থিয়েটারের আয়োজনে ধারাবাহিক মঞ্চায়নের ৩৫ তম প্রযোজনা শিশু কিশোরদের অভিনীত মড়া নাটকের মঞ্চায়ন গত ২৮ জুলাই ময়মনসিংহ কাচারীঘাটে থিয়েটারের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়৷
শুভস্কর চক্রবর্তীর রচনায় ও আবুল মনসুর নির্দেশনায় নাটকটিতে অভিনয় করেন রবিন, সোহেল, শাফিন, অসীম, সাম্য, জাহিন প্রমুখ৷