পূর্বময় ডেস্ক ঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় ৬০ বছর এক বৃদ্ধের দ্বারা ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে গত ২১ জুলাই ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সং /০৩) এর ৯(১) এ মামলা রুজু করা হয়। যাহার মামলা নং ২২।
সূত্র জানায়, ফুলবাড়িয়া থানার বেরিবাড়ী (গৌরীপুর) এলাকার মৃত আতাব উদ্দিন ও মৃত রাবেয়া খাতুনের সন্তান মোঃ আবুল হোসেন (৬০) ভিক্টিমের প্রতিবেশী। সেই সুবাদে ভিক্টিমের বাসায় যাতায়াত করতো এবং ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দিত। গত ২৬ মে মেয়েটির বাসায় আসামী আবুল হোসেন যায় এবং বাসার সবাই কোথায় গেছে তা জানতে চায়। মেয়েটি যখন জানায় বাসায় কেউ নাই। তখন সে এই সুযোগে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। মেয়েটি ভয়ে কারো কাছে মুখ খুলেনি।
কিন্তু ২ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ করেই মেয়েটি অসুস্থ হয়ে যায় এবং মেয়েটিকে ফুলবাড়িয়া আখালিয়া হেলথ সেন্টারে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। মেয়েকে এ ব্যাপারে তার পরিবার জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি জানায় মোঃ আবুল হোসেন খুন জখমের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। তা জানার পর পরই মেয়েটির পিতা ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের ভার ফুলবাড়িয়া থানার এস আই ছায়েদুর রহমানকে দেয়া হয়।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, মেয়েটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল টেষ্টের জন্য মহিলা কনস্টেবল দিয়ে নিয়ে আসা হয়। টেষ্টের জন্য নিয়ে যায় মহিলা কনস্টেবল। কিছুক্ষণ পরই ডাক্তার এসে জানায় মেয়েটির ব্লিডিং হয়েছে এবং ডিএনএ টেষ্টের জন্য ব্লাড নেয়া হয়েছে। মেয়েটির পরিবার ডাক্তারের কাছে জানতে চায় এর আগে তো ব্লিডিং হয়নি। হঠাৎ ব্লিডিং! মেয়েটি জানায় যে পরিক্ষা করার পর পরই ব্লিডিং হয়েছে। এতে ডাক্তার মেয়েটির গায়ে হাত তুলতে চায় এবং মেয়েটি মিথ্যা বলেছে বলে অভিযোগ করে। মেয়েটির ২য় রিপোর্টে আসে ‘মিসড এবরশন’।
মামলা করার ২ দিন পার হয়েছে। এস আই ছায়েদুলের কাছে আসামী এরেষ্ট করার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, আসামী ধরার চেষ্টায় আছেন,লোক লাগানো হয়েছে। তবে পুলিশের এখনো উন্নয়ন হয়নি যে এতো তাড়াতাড়ি আসামী এরেষ্ট করা যায়। তবে তারা চেষ্টা করছেন। ভিক্টিম ও তার পরিবার ন্যায়বিচার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।