পরশ মির্জা ঃ মানবজীবনের প্রথমপর্ব শিশুকাল। অবুঝ অসহায় নিষ্পাপ সময়কাল। জীবন জগতের বাস্তবতা এ সময়কালে তার মাঝে রেখাপাত করে না। হেসে খেলে অানন্দে কেটে যায় বেলা।
কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় মায়াবী এই শিশুরাই অাজ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রে সর্বোপরি সারাবিশ্বে অনিরাপদ। যা অস্বীকার করার অবকাশ নেই। এই শিশুরা অাজ মানুষরূপী হায়েনাদের দ্বারা ধর্ষিত হয়। বলৎকারের শিকার হয়। অপহরনকারীদের দ্বারা অপহৃত হয়। পাচারকারীদের দ্বারা পাচার হয়ে যায়। প্রতিহিংসার বলি হয়। হয় খুন। বলি হয় পরকিয়ার। পারিবারিক জিঘাংসার স্বীকার হয়। পিতামাতার দাম্পত্য কলহের কারণেও জীবন দিতে হয় ছোট্ট অবুঝ শিশুটিকে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শিশুর জন্য বৈরি পরিবেশ বিরাজমান। সর্বত্র অনিরাপদ হয়ে পড়েছে মানবশিশু।
অান্তর্জাতিক পরিমন্ডলে চোখ মেলালে বীভৎস চিত্র বিরাজমান। যুদ্ধবিধস্ত দেশগুলোতে শিশু মরছে তো মরছেই। যুদ্ধবাজদের তাজা বারুদের মুখে ক্ষতবিক্ষত মানবশিশু। অপুষ্টির স্বীকার হচ্ছে। হাসছে হায়েনা মরছে মানবশিশু। বিবেক মানবিকতা যেন পলায়ন করেছে পৃথিবী নামক গ্রহটি থেকে। সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী যুদ্ধবাজদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা অসহায় মানবশিশু।
এর শেষ কোথায়? মানবশিশু কি তার বেড়ে উঠার অনুকূল নিরাপদ পরিবেশ পেতে পারে না পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র তথা এই ভূমন্ডলে? এ প্রশ্নের উত্তরের মাঝেই রয়েছে মানবশিশুর নিরাপদ অাবাস। নিরাপদে বেড়ে উঠার অনুকূল পরিবেশ।