নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ
টানা ৪ দিন ব্যাপী অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে নেত্রকোনার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, গত সোমবার থেকে নেত্রকোনায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের ফলে সুমেশ্বরী, কংস ও উব্দাখালী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গত বুধবার সন্ধ্যায় জারিয়া কংশ নদীর পানির মিটার রিডার মোঃ আলমগীর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কংশ নদীর পানি বিপদ সীমার ১১৬ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুমেশ্বরী নদীর পানির মিটার রিডার নাঈম আহমেদ জানান, সুমেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ী ও হাট-বাজার হুমকির মুখে পড়েছে। অনেক জায়গায় নদীর কুল উপচে নিন্মাঞ্চলের অনেক বাড়ি-ঘরে ঢলের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। আমন ধানের বীজতলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আংশকা করা হচ্ছে।
নেত্রকোনা জেলা কৃষক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ আমরা জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদী, খাল বিল গুলি দ্রুত খননের জোর দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। যদিও বা মাঝে মধ্যে নদী ও খাল খননের কথা শুনা যায়। কিন্তু বাস্তবে যে ভাবে নদী ও খাল খনন করলে তা জনগনের উপকারে আসতো সেভাবে খনন করা হয় না। ফলে তা জনগনের কোন উপকারে আসে না।
এদিকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারণে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের ইন্দ্রপুর এলাকায় একটি সেতু ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সড়ক বিভাগ সেতুটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।