স্টাফ রিপোর্টারঃ আকুয়া দক্ষিণ পাড়ার (উলোঙ্গা পাড়া) শীর্ষ সন্ত্রাসী র্যাব ১৪ এর অভিযানে আটক ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নাবালিকা ধর্ষণ মামলার আসামী কাজলকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
গত রবিবার ৩ নং ফাঁড়ির পরিদর্শক জালাল জানান, তার রিমান্ড মন্জুর হয়েছে। নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং সেই ভিডিও দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজী মামলার নুসরাত জাহান মৌসুমীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় পুলিশ তারা মিয়ার ছেলে কাওছার ও মামুন পিতা চাঁন মিয়া সহ অজ্ঞাতনামাদের এখনো ধরতে পারেনি। চাঞ্চল্যকর নাবালিকা শিশু ধর্ষণ ঘটনায় আকুয়ার সর্বত্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও পুলিশের অভিযান তেমন জোরালো নয়।
কাজল বাহিনী দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা করলেও ৩নং ফাঁড়ির পুলিশ কেন এ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি,সেটি এখন এলাকার আলোচনার বিষয়। র্যাবের অভিযানে আটক না হলে, ফাঁড়ি পুলিশ তাদের ধরতো কি না সন্দেহ। এক সময় আকুয়ার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী আজাদ বাহিনীর ডান হাত ছিল কাজল। আজাদ খুনের পর তার বাহিনীর ও অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নেয় কাজল ও তার ভাই সজল।
এলাকায় মাদক,চাঁদাবাজী,জমি দখল,ধর্ষণ,খুন ও আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতায়ের প্রায় সব ঘটনার নায়ক এই কাজল। এলাকাবাসী র্যাবের এই অভিযানকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে নানা তথ্য দিচ্ছে। নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় কোতোয়ালী মডেল থানায় দুটি মামলা হয়েছে। একটি ( মামলা নং-১৬) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)৩০. তৎসহ দ:বি: ১৪৩/৪৪৮/৩৮৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৭৯/৫০৬(২) ও মামলা নং (১৭)৮(২)২০১২,সালের পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক মামলা হবার প্রয়োজন ছিল। কারণ কাজল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজীর মামলা আছে। সেই মামলার ১০ জুন জামিনে গিয়ে বাদীর শ্বশুরের সালেহা ফুড প্রডাক্টস এ হামলা করে এবং মামলা প্রত্যাহারে হুমকী দেয়। এ ঘটনায় সালেহা ফুড প্রডাক্টস এর মালিক কোতোয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত শেষে গত ২১ জুন দারোগা আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা পেয়ে একটি প্রশিকিউশন দেয়।
নাবালিকাকে ধর্ষণের পর কাজল ও কাওছার সেই ঘটনা ভিডিও করে, তা মুছে ফেলার জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। একটি সূত্র জানায়, ধৃত কাজলের কাছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র আছে। এই বাহিনীর সদস্য মানিকের কাছেও আগ্নেয়াস্ত্র আছে। তাদের বেশ কটি রামদা আছে। যা গরুর গোবরে লুকিয়ে রাখে।
অন্য একটি সূত্র জানায় র্যাবের ইনফর্মার নজরুলের সাথে কাজলের সম্পর্ক থাকায় অনেক তথ্য তার কাছ থেকে জানা যাবে। নজরুল ফুলবাড়ীয়া নতুন বাসস্ট্যান্ডে থাকে।
সূত্র আরো জানায়, ধর্ষণ মামলায় কাজল গ্রেফতারের পর মামলার বাদীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। ধর্ষনের পর সেই ভিডিও মুছে ফেলার জন্য সন্ত্রাসী কাজল বাহিনীর সাথে ধর্ষিতার বোন বোন একটি নন জুডিসিয়াল স্টাম্পে ২ লক্ষ টাকার চুক্তি করে। যা কাওছার বা মামুনের কাছে আছে। তবে এই বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যক্রম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন আনতে হলে ধর্ষণ মামলাটি ডিবি বা পিবিআই দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। নাবালিকা ধর্ষনের ঘটনাটি ফেসবুকে দেয়া হলো ঐ এলাকার ভিপি কামাল মন্তব্য করেন- একে রিমান্ডে নিয়ে অস্ত্র ও অন্যান্য ঘটনার সম্পর্কে বিস্তারিত এবং প্রশাসনের অজানা তথ্য বেড়িয়ে আসবে।
প্রশয় দাতাদের মধ্যে ওর মা, এলাকার লোকজনের মুখে জানা যায়,জমির কারণে তার স্বামীকে হত্যা করেছে। আত্নীয় স্বজনরা জানে। কেহ ভয়ে মুখ খোলেনা। আসামীর মায়ের ৪ টি বিয়ে হয়েছিল।ছেলেদের প্রশয় দেয়ায় আরও তিন ছেলে অপরাধ জগতের সন্ত্রাসী। সকল ঘটনা সঠিকভাবে তদন্তের মাধ্যমে সত্যকে উদঘাটন করুন। ভিপি কামাল আরো লিখেন : এলাকায় প্রত্যেকটি হত্যার পিছনে এদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। দ্রুতই রিমান্ডে নেয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।