ছায়া ও আমি
বাবলী আকন্দ
অস্পষ্ট ধারণা নিয়ে
বেঁচে থাকা সহজ!
নাকি মৃত্যুর দিকে হেঁটে যাওয়া
সময়ের অপেক্ষা,,,,
সময় নাকি সবই বলে
তবে কেন এমন
সময়,,পরিস্থিতি,,, অপেক্ষা
সময়তো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে
অস্পষ্ট ধারণা,, মৃত্যু
এসবই কি সামান্য একটি ঘটনা!
দুঃসহ যন্ত্রণা মনের ভেতর
আঁকড়ে ধরে আছে আমায়
আষ্ঠেপৃষ্ঠে এমনভাবে
জড়িয়ে ধরেছে যে
সাপের ফনা আমাকে
বার বার দংশন করছে,
মুক্তি! মুক্তি চাই,,,
আজ আঁধার পেরিয়ে আলোতে
আসতে চায় মন
পেয়েছি হাত, শক্ত করে বাঁধন দিয়ে
ধরেছি যখন।
হয়তো কাব্য কবিতা ভাববে সবাই
কিন্তু আমি জানি,পেয়েছি আলোর দিশা
কালক্ষেপণ করিনি!ঝট করেই আলোর দিশা চিনে নিয়ে পথ হাঁটতে শুরু করেছি,
কিন্তু ছায়া পেছন ছাড়ছে না!
ও পেছন ছাড়বেও না আমার!
সাপের বিষে নীল না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত
আমাকে ওর চাই!
আকন্ঠ গলাধঃকরন
করতে চায় আমাকে!
আমি কুঁকড়ে নিই নিজেকে
আরো আরো ভিতরে
যতটুকু আমি যেতে পারি
কিন্তু নাহ! সাহস নিয়ে অল্প অল্প করে
মাথা উচু করে তাকিয়ে
অভিশপ্ত ছায়াকে দেখে
আবারও গুটিয়ে ফেলি
ভয় হয়!বড্ড ভয় হয়!!
আমারই ছায়া যদি
আমাকেই গ্রাস করে নেয়!
নাহ! তা হতে দেয়া যায় না!
সজোরে মাথা তুলে তাকিয়ে থাকি
আমারই ছায়ার দিকে।
প্রতিবিম্ব কি একটা!!
বিবেক হা হা করে হাসতে থাকে
আর বলতে থাকে,ভয় পেলি!!
আমিও অট্রহাসিতে ফেটে পড়ি
বলি,,,তুইই আমার বিবেক!
আর তোর জন্যই আত্মত্যাগ এর গুনটি দংশন করে আমায়।
আমার মতো হাজারো নারীকে।
যারা প্রতিনিয়ত আত্মত্যাগের
উদাহরণ হয়ে থেকে যায়
নিজ ছায়ার কাছে।
যা কেউ টেরই পায় না!
তুই না বিবেক!
তুই কি পারিস না,
আমার,তাঁর আর সেই নারীদের আত্মত্যাগ
সবার মাঝে তুলে ধরে বাহবা দিবি!
তুই সেটাও পারবি না!
জানি আমি! কেননা তুই যে নিজের জন্যই ভাবিস না!
ভাবিস অন্যদের নিয়ে।
আর নারীদের মাঝে তোর অবস্থান এখন আমার কাছে বৈপরিত্য লাগে।
তুই পুরুষের মাঝে গিয়ে অগ্নি হয়ে যাস
আর নারীর মাঝে, আমার মাঝে আসলে কোমলমতি হয়ে যাস,
তাই ছায়াসহ তোকে খুব ভয় পাই রে আমি!!!