শেরপুরে শ্রীবর্দি উপজেলার ভারতের মেঘালয় ঘেষা খাড়ামুরা গ্রাম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ

Date:

Share post:

লালমোহাম্মদঃ
বৃহত্তর ময়মনসিংহের উত্তরাঞ্চল ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চল। বাংলাদেশের উত্তর সীমান্ত জেলা শেরপুরের শ্রীবর্দি উপজেলার সীমান্ত সড়ক পারি দিয়ে ভারতের গোবিন্দ পাড়া বি এস এফ ক্যাম্পের পাশেই কাটাতারের বেস্টনী সীমানার পরই তিনটি গ্রাম বাংলাদেশের অংশ। গ্রামটির পশ্চিম দিক থেকে ভারত থেকে নেমে এসেছে পাগলা নদী, পূর্ব দিক থেকে সোমেশ্বরী নদী এসে দক্ষিন দিক দিয়ে মিশেছে পাগলা নদীতে। ২০ বর্গ কিলোমিটারের বসতিতে ৩ টি গ্রাম। খাড়ামুরা, পশ্চিম খাড়ামুরা ও রাগজান গ্রাম, লোক সংখ্যা আনুমানিক ১০ হাজারের কাছাকাছি। ভোটার সংখ্যা ৩ হাজারের উপরে। ৩টি গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা ভারত সীমানার কাটাতারের বেড়া হয়ে লম্বালম্বি পাগলা নদীর ঘাট। নদী পার হলেই বালিজুরি ঈদগাহ মাঠ ও হাই স্কুল।গ্রামটিতে রয়েছে একটি দাখিল মাদরাসা ও ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। হাতেগুনা ৫০/৫৫টি গারো ও কোচ আদিবাসী পরিবার, তাদের মধ্যে ১৫/১৬টি কোচ পরিবার। তারা এমনিতেই অনগ্রসর বিচ্ছিন্ন ভাবে অধিকার বঞ্চিত হয়ে অারো যেন পেছনে। গ্রামের বেশীর ভাগ মুসলীম জাতিগোষ্ঠির হলেও তারাও সুবিধা বঞ্ছিত। নূন্যতম মানবিক অধিকার গুলো যেন তাদের স্বপ্নের মত কাজ করে। কেন? শুধু মাত্র যোগাযোহ ব্যবস্থার কারনে ত্রি-মুখি নদী বেষ্টনী ও উত্তর সীমান্তে ভিন্নদেশের কাটাতারের বেড়া। এ যেন সমস্ত হাসিই তাদের থামিয়ে রাখে, মানবাধিকারের নূন্যতম সুবিধা হয়ে উঠে অাকাশ চুম্বি। করিডোর বাসী ভোটাধিকর থেকে বঞ্চিত ছিল, বাংলাদেশের নাগরিত্ব থেকে বঞ্চিত থেকে হাহাকার করছে বহু দিন, আর এরা নাগরিত্ব পেয়ে, ভোটার হয়েও বঞ্চিত হয় বারবার। কেন? বাধাঁ পাগলা নদী ভোটের দিন নদীতে জোয়ার হলে ভোটই দিতে পারে না। আর সারাবছর নদীতে পানি আছেই। শুকনো মৌশুমে ভাটিত বাধঁ, বর্ষায় জোয়ার। নেই নদীপারাপারের সুযোগ সুবিধা, উৎপাদিত কৃষি পন্য ও অন্যান্য সামগ্রী পরিবহনে একমাত্র ঘোড়ার গাড়ী। এই গ্রামের লোকজনের দির্ঘ দিনের দাবী একটি ব্রীজ নির্মানের। নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রূতি দেন। হয়না ব্রীজ।
এই গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র দেলোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি অকপটে এ কথাগুলো বলেন। কথাবলেন ষাটোর্ধ হাছেন আলী মোশারফ হোসেন, শরিফুল ইসলাম। পান নুন চুন কিনতে হলেও নদী পাড় হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই তাদের, তারা জানান আমরা এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপে বসবাস করছি।
সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের সু দৃষ্টির কামনায় এই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ কোন দিন হবে সেই দিন। এই গ্রামের মানুষ পাবে কাঙ্খিত ব্রীজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_img

Related articles

মদনে ভিজিডি কার্ডধারীদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোণা মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে (ইউপি) ২৭০ জন দুস্থমাতা (ভিজিডি) কার্ডধারীদের কাছ থেকে প্রতি...

দেশের সংবিধানকে টেনে ছুড়ে আ.লীগের গঠনতন্ত্রে পরিনত করেছিল-কায়সার কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতন্ত্র হত্যা...

পূর্বধলায় বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

পূর্বধলা প্রতিনিধিঃগত ৬ই সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত আঃ মন্নাফের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম'র...

কলমাকান্দায় প্রকৃতি সুরক্ষায় সবুজ সংহতি গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলায় প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সবুজ সংহতি (গ্রিন কোয়ালিশন) গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২...