বাবলী আকন্দ ঃ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট এর আয়োজনে মুক্তা চাষ প্রযুক্তি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় স্বাদুপানির ঝিনুকে মুক্তা চাষ: গবেষণা অগ্রগতি ও সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনার গতকাল বিএফআরআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, ঝিনুক পরিবেশ বান্ধব প্রাণী। মুক্তাচাষ জনপ্রিয় করতে পারলে ঝিনুক চাষ বৃদ্ধি পাবে। এতে একদিকে আর্থিকভাবে যেমন লাভবান হওয়া সম্ভব তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করাও সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে এ উদ্ভাবন সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে।
বক্তাগণ আরোও বলেন, অভ্যন্তরীণ জলাশয় গুলোতে ঝিনুকের চাষ বৃদ্ধি করে মুক্তা উৎপাদন এবং বৈজ্ঞানিকভাবে তা পর্যবেক্ষণ, সংরক্ষণ করতে হবে। এখনো মুক্তা বাজার জাতকরনের ব্যাপারে তেমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে উৎপাদন এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে পারলে বাজারজাতকরনে সমস্যা হবে না বলেও জানান বক্তাগণ। প্রধানমন্ত্রী গবেষণার বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতাপূর্ণ। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম প্রধান মোঃ লিয়াকত আলী। আলোচনা করেন প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক, ড. তপন কুমার পাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট এর মহাপরিচালক ড.ইয়াহিয়া মাহমুদ। সঞ্চালনায় ছিলেন ড. মোহসিনা বেগম তনু।
অন্যান্য বৈজ্ঞানিকগনসহ ঝিনুক ও মুক্তা চাষ উৎপাদনে অংশগ্রহনকারীগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, এমপি, মৎস্য চাষীদের মাঝে উন্নত লাল তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ করেন এবং ঝিনুক ও মুক্তা চাষের গবেষণাগার পরিদর্শন করেন।