স্টাফ রিপোর্টার ঃ শহরের শাখারী পট্টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান কাজে বাধা দিচ্ছে রঞ্জিত কুমার সিংহ রায় নামে জনৈক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকৌশলী বরাবরে একটি আবেদন করে রঞ্জিত দাবী করেন, এ জমি নিয়ে মামলা হচ্ছে। সুতরাং নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে হবে। উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে আবেদন জানিয়েও ক্ষান্ত হননি রঞ্জিত রায়। নির্মানাধীন শাখারী পট্টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে ঠিকাদারকেও কাজ বন্ধ রাখার দুঃসাহস দেখিয়েছেন।
সূত্র জানায়, নিয়মানুযায়ী সদর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় থেকে আকুয়া দক্ষিণ পাড়ার অয়ন এন্টারপ্রাইজ শাখারী পট্টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্মানের কাজ পায় এবং যথারীতি কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে পুরনো বিল্ডিংটি ভেঙ্গে ফেলে ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলের কাজটি শেষ করার লক্ষ্যে দ্রুত শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ শুরু করে। সূত্র আরও জানায়,গত ২৩ জুন রঞ্জিত কুমার সিংহ রায় শাখারী পট্টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান স্থলে এসে ঠিকাদারকে আদালতে মামলা আছে বলে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। ঠিকাদার আদালতের ইনজেকশন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি না বলেন। এরপর রঞ্জিত রায় উপজেলা প্রকৌশলী বরাবরে তার আবেদনের বিষয়টি জানিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বললে ঠিকাদার জানান,সরকারি প্রাইমারি স্কুলের কাজ বন্ধ করার ক্ষমতা তার নেই। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে হবে। না হলে জরিমানা গুনতে হবে। যদি উপজেলা প্রকৌশলী তাকে লিখিতভাবে নির্দেশ দেন তবেই তিনি বন্ধ করতে পারবেন। তাছাড়া তিনি কোনভাবেই কাজ বন্ধ রাখতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোন করলে তিনি জানান রঞ্জিত রায়ের দরখাস্ত তিনি পেয়েছেন। আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এটি সরকারি জায়গা। ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যাবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করে আমাদের কাছে হ্যান্ডভার করবে। রঞ্জিত রায়ের দাবী ভিত্তিহীন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্মানাধীন স্কুলটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় তা ভেঙ্গে নতুন বিল্ডিং নির্মানে সরকারের সব নিয়ম পালন করেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে এবং সর্বনিম্ন করদাতাকেই কাজটি দেয়া হয়েছে। সুতরাং রঞ্জিত রায়ের ভিত্তিহীন দাবীর মুখে কাজ বন্ধ করা যাবে না।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন,এখানে আমাদের কোন দায় দায়িত্ব নেই। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন,না কাজ বন্ধ করার কোন পথ নেই। এমন কোন নির্দেশনা ও নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এখানে শাখারী পট্টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ছিল এবং গরীব ছাত্ররা পড়াশোনা করতো। সম্প্রতি বিল্ডিং টি অকেজো হওয়ায় তা সরকারি ভাবে ভেঙে নতুন বিল্ডিংটির নির্মানে দরপত্র চাওয়া হয় এবং যাবতীয় নিয়ম মেনেই ঠিকাদার কাজ টি পায়।
কিন্তু একটি বিশেষ মহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গাটি দখলের জন্য রঞ্জিত রায়কে ব্যবহার করে স্কুলের নির্মান বন্ধ করে ফায়দা লুটতে চায়। বিষয়টি তদন্ত করে রঞ্জিত রায় এবং তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
সূত্রঃ দৈনিক আজকের বাংলাদেশ