শিমুল শাখাওয়াত:
“দাঁড়াও পথিক বর”। যথার্থ বাংগালী, যদি তুমি হও
ক্ষণিক দাঁড়িয়ে যাও, এই সমাধি স্থলে।
এখানে ঘুমিয়ে আছে, বাংগালীর সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা
এদেশের মুক্তিদাতা, বাংলার নয়নের মণি।
মধুমতি নদীতীরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পূর্বধলা উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুজন।
গতকাল সোমবার (২৪ জুন) সন্ধায় তিনি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে তিনি পবিত্র সূরা ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনজাত করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন আজকের আরবান এর সম্পাদক ও প্রকাশক সৈয়দ আরিফুজ্জামান ও সাপ্তাহিক উদয়ের পথে এর নির্বাহী সম্পাদক আল-মামুন।
পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ১৮ জুন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৭৪টি ভোট কেন্দ্রের ৬৭টি তেই আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম সুজন (নৌকা প্রতীক) জয় লাভ করে ৫৭ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মাসুদ আলম তালুকদার টিপুকে (আনারস প্রতীক) ৩৪ হাজার ২৬৭ ভোটে পরাজিত করেন।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলা সদর থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে শান্ত সুন্দর নিরিবিলি এই টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম হয় বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। আবার এই গ্রামেই প্রকৃতির মমতাঘেরা কোলে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বঙ্গবন্ধু।
মাজার কমপ্লেক্সের সামনের দু’পাশের উদ্যান পেরোনোর পরই বঙ্গবন্ধুর কবর। পাশেই তার বাবা-মায়ের কবর। এই তিন কবরকে ঘিরেই নির্মাণ করা হয়েছে মূল স্থাপনা। সাদা পাথরে নির্মিত গোলাকার এক গম্বুজ বিশিষ্ট সমাধিসৌধের ওপর দেয়ালে জাফরি কাটা। এর মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো আসে। উপরে কারুকাজ করা কাচ ভেদ করেও আলো ছড়িয়ে পড়ে কবরে।
চারদিকে কালো টাইলস ও মাঝখানে শ্বেতশুভ্র টাইলসে বঙ্গবন্ধুর কবর বাঁধানো। উপরের অংশ ফাঁকা। কবর তিনটি ঘিরে রাখা হয়েছে সংক্ষিপ্ত রেলিং দিয়ে। ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকন্যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সমাধিসৌধের উদ্বোধন করেন। কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে পাঠাগার, গবেষণাকেন্দ্র, প্রদর্শনীকেন্দ্র, মসজিদ, পাবলিক প্লাজা, প্রশাসনিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, উন্মুক্ত মঞ্চ, বকুলতলা চত্বর, স্যুভেনির কর্নার, প্রশস্ত পথ, মনোরম ফুলের বাগান ও কৃত্রিম পাহাড়।