হীরা আহমেদ জাকিরঃ
সিলেট-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের ব্রাহ্মনবাড়িয়ার শাহবাজপুর বহুমুখী সেতুর ৪র্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়েছে। এ কারণে এ সেতুর ওপর দিয়ে সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যানবাহন চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ)।
এরফলে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় শাহবাজপুর বহুমুখী সেতুর ৪র্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে যায়,এর ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আর যানজটে কষ্ট করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের ৯২ কিলোমিটারে অবস্থিত শাহবাজপুর বহুমুখী সেতুর রেলিং ভেঙে গিয়েছে। তাই ওই মহাসড়কে চলাচলকারী ভারী ও মাঝারী যানবাহনগুলোকে নিরাপত্তার স্বার্থে বিকল্প পথ হিসেবে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ মহাসড়ক ব্যবহারের জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
জানা যায়, তিতাস নদীর উপর ২০৩ মিটার দীর্ঘ সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ব্রিজটি ১৯৬৬ সালে প্রথম নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিজের দুইটি স্প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে বেইলি ব্রিজের মাধ্যমে পুনঃস্থাপন করা হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত সেতুসমূহের পুনঃনির্মাণ প্রক্রিয়ায় এই সেতুর দুইটি স্প্যান পুনঃনির্মাণ করা হয় ১৯৯২-১৯৯৩ সালে। ২০১৬ সালের মার্চ মাসে সেতুটির মাঝের স্প্যানের গার্ডারে ফাটল দেখা দিলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী মাঝের স্প্যানে ২০০ ফুট বেইলি ব্রিজ দুই লেনে স্থাপন করা হলেও যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি রয়ে যায়। এতোদিন ঝুঁকি নিয়েই এই সেতৃ দিয়ে যান চলাচল করছিলো। মঙ্গলবার ১৮জুন সেতুটিতে ভাঙ্গন দেখা দেয়।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহবাজপুর সেতুর চতুর্থ স্প্যানের ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। পরে সওজ এ সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, সেতুটি যান চলাচলের উপযোগী করতে আরও ৩থেকে ৫দিন লাগতে পারে।