আসাদ তালুকদারঃ বৃহস্প্রতিবার(৬জুন) নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রেমিকের সাথে বেড়াতে গিয়ে প্রেমিকের সামনেই এক নারী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগের কথা জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক সুমন(৩৫) পলাতক রয়েছেন।
কেন্দুয়া-মদন সড়কের কেন্দুয়া উপজেলার কুন্ডলী এলাকায় শাপলা ইটখলায় ধর্ষিত হন প্রায় ৩০ বছরের এই নারী। তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
তার বাবার বাড়ি- কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা ইউনিয়নে।তিনি ঈদের ছুটিতে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন ।
ধর্ষিতার বরাত দিয়ে পুলিশ গণমাধ্যমকে জানান, বেশ কয়েক বছর আগে ময়মনসিংহের আঠারবাড়ি এলাকার এক ছেলের সাথে ওই নারীর বিয়ে হলেও তা ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। একটি পুত্র সন্তান রয়েছে নারীর। গত তিন বছর ধরে সুমনের সাথে গাজীপুরেই পরিচয় থেকে প্রেম হয়। পরে মৌখিকভাবে বিয়ের সূত্রে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চলতেন। কিন্তু কখনই সুমনের বাড়িতে যাননি বা সুমনের আত্মীয়-স্বজনের সাথেও ওই নারীর পরিচয় হয়নি। এমনকি সুমনের কোন ছবিও ওই নারীর কাছে নেই।
বৃহস্পতিবার মোটরবাইকে চড়ে সুমনের সাথে বেড়ানোর এক পর্যায়ে ইটখলাটির কাছে মোটরসাইকেল থামান সুমন। এ সময় অন্য দুইজনের সাথে তারা ইটখলায় যায়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে অন্ধকার হয়ে আসলে সুমনকে আটকে রেখে ওই নারীকে ধর্ষণ করে দুইজন। পরে সুমনসহ নারীকে ছেড়ে দিলে সুমনও পালিয়ে যায়। নারীটি সেখান থেকে একটি রিক্সায় চড়ে থানায় এসে ঘটনা জানায়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে এই গণধর্ষণের ঘটনায় নারীর কথিত স্বামী সুমনও জড়িত। রাতেই পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, আসামীকে ধরার জন্য আমাদের তৎপরতা অব্যাহত আছে।