নকলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধুকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টায় গ্রেফতার-০১

নকলা প্রতিনিধিঃ শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বাছুর আলগা গ্রামে ২৩ মে বৃহষ্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ শিলা আক্তার জান্নাতের সাথে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বাছুর আলগা গ্রামের সমর আলীর ছেলে সজিব আহম্মেদের সাথে ধর্মীয় আইন অনুযায়ী বিয়ে হয় প্রায় ৪ বছর। এরই মধ্যে তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে বয়স ০১বছর। বিয়ের ১বছর পরেই সজিব এলাকারই অন্য এক মেয়ের সাথে পরকীয়ায় জড়ায় এবং বিভিন্ন ভাবে দুরত্ব তৈরির মাধ্যমে স্ত্রী শিলাকে যৌতুকের জন্য মারধর করতে থাকে। শিলার বাবা পেশায় একজন সিএনজি চালক। সামান্য আয়ে নিজের সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়েকেও খুশি রাখতে গিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র সহ গয়নাঘাটি দিয়েছেন। এরই মধ্যে সজীবের পরকীয়ার গ্রাম্য শালিসও করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী। গত প্রায় মাস খানেক আগে ২ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে শিলার বাবার কাছে খবর পাঠান সজিবের পরিবার। কিন্তু অসহায় এই সিএনজি চালক এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায়, ২৩ মে বৃহষ্পতিবার সাহরীর পরে সজিবের পরিবারের লোকজন মিলে শিলাকে ঘড়ে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রেখে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মুখের দাত ভেঙ্গে দিলে মাটিয়ে লুটিয়ে পরলে ঘড়ে আগুন ধরিয়ে দিলে শিলার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন শিলাকে উদ্ধার করতে আসলে পাগল বলে চালানোর চেষ্টা করে সজিবের পরিবার। এলাকাবাসীর মাধ্যমে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হলে, চেয়ারম্যন বিস্তারিত শুনার পর ফোন করে শিলার বাবা শহিদুল ইসলামকে আসতে বলেন শিলার বাড়ীতে। পরে ২৪ মে শুক্রবার শিলার বাবা, স্থানীয় লোকজন এবং পুলিশি সহযোগীতায় শিলাকে সজিবের বাড়ী থেকে উদ্ধার করে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে শিলার বাবা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নকলা থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ১১ (খ)/৩০ যৌতুকের দাবিতে মারধর করিয়া গুরুত্বর জখমের অপরাধ উল্লেখ করিয়া তার স্বামী সজিব সহ পরিবারের ৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিয়মিত মামলা রুজু করেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আফজাল হোসেন। এরই ধারাবাহিকতায় ঘাতক সজিব আহম্মেদকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। এদিকে ২৬ মে রবিবার, অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে রেফার করেছেন নকলা হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার রবিউল করিম। শিলাকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্থি দাবি করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী সহ সচেতন নাগরিকবৃন্ধ।