স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. আলী আকবর এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দূর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, গত ২০১৪ ও ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ৩য় ও ৪ র্থ শ্রেণী কর্মচারী এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে ১১০০০ এর বেশি প্রার্থী বিভিন্ন পদে পে অর্ডার করে দরখাস্ত জমা দেয়। সেই দরখাস্ত যাচাই বাছাই করে ২০১৯ সালে ৫০০০ প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয় যেখানে বেশিরভাগ ময়মনসিংহের বাইরের। গত ১৬ মে চাকুরীর প্রবেশপত্র না পেয়ে দলীয় লোকজন ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে সেখানে দুপক্ষের সংঘর্ষে ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সহ সভাপতি সেলিমসহ অনেকেই আহত হয়। এছাড়াও কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে বাকৃবি পূবালী ব্যাংকে পৃথক ২ টি একাউন্ট খোলা হলেও তা তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠিত হলেও ফলাফল পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন পদগুলোতে নিজ আত্মীয়দের নিয়োগের বানিজ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ মিল্টন কুমার বসাক,সাবেক সম্পাদক কৃষিবিদ এইচ এম রেজাউল করিম, ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল চন্দ্র দাস,ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম সেলিম,ময়মনসিংহ মহানগর শাখার ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইঞ্জিঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, ময়মনসিংহ জেলা শাখার বঙ্গবন্ধু পেশাজীবি লীগের সভাপতি একে এম খায়রুল কবীর, ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ দিদারুল ইসলাম ভুঁইয়া, ময়মনসিংহ জেলা কৃষক লীগের কৃষিঋণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সালাহউদ্দিন, বয়ড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুমন মিয়া।