সালমান শাহ ঃ কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্যের জন্য গত সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে বুধবার সারাদেশে মানববন্ধনের ডাক দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্ববায়করা। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী আজ দুপুর ২ টার দিকে গাঙ্গিনার ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্ত্বরের সামনে মানববন্ধন করে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ময়মনসিংহ শাখা। কৃষকদের ফসল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি, ভর্তুকি প্রদানসহ মধ্যস্ত্বকারীদের দৌরাত্ব কমাতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য এই মানববন্ধনের ডাক দেয় তারা। এতে উপস্থিত ছিলেন এতে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ কমিটির বর্তমান আহ্ববায়ক জুনু রন্জন দাস, মোকছেদুল তপু, শাহিন, ঝরণা আফিরন, বাধন ও সাবেক আহ্ববায়ক শরীফ হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, কামাল, বাদলসহ সদস্যবৃন্দ। জানা যায়, ১ মণ ধান কৃষকদের বিক্রি করতে হচ্ছে ৪৫০- সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা। অথচ ধান কাটা শ্রমিকদের দিতে হয় ৬০০-৮০০ টাকা।প্রতি মণ ধান চাষ করে কৃষকদের ২০০-২৫০ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। ১ মণ ধান বিক্রি করে মিলে ১ কেজি গরুর মাংশ। চাষাবাদের খরচ বাড়লেও বাড়েনি ধানের দাম। আবার ধানের দাম কমলেও চালের দাম প্রায় আগের অবস্থাতেই আছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন “কৃষকরা কোন মাস শেষে বেতন পান না কোন বোনাসও পান না উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে তাদের সারা বছর চলতে হয়, যদি দ্রব্যমূল্য বাড়ার জন্য আমলাদের বেতন বাড়ানো হয় তাহলে কেন কৃষকদের ধানের দাম বাড়াবে না?”। তারা আরো বলেন”১ কেজি ধানের দাম ১২ টাকা হলে চালের দাম কিভাবে ৪০ টাকা হয়?”। অনেক বক্তারা কৃষিমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন”যদি তিনি মনে করেন মাত্রাতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হয়েছে তাহলে আমদানী বন্ধ করে দেওয়া হোক, কৃষি পন্য রপ্তানির ব্যবস্থা করা হোক”। কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনে তারা কৃষকদের সাথে নিয়ে ময়মনসিংহ টু ঢাকা পর্যন্ত লং মার্চেরও কথা বলেন। এসময় তারা তাদের ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিসমূহঃ
১.সকল কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে
২.কৃষিতে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রনে আনতে হবে
৩.কৃষিখাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে
৪.সার, তেল, বীজ, কীটনাশকের দাম কমাতে হবে
৫.হাওর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে
৬.সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করতে হবে।