পূর্বময় ডেস্কঃ
কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বাজিতপুর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় বাসের চালক ও হেলপারসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (৮ মে) দুপুরে পাঁচজনকে কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুনের আদালতে হাজির করে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আসামিদের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার রাতে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী ‘স্বর্ণলতা’ পরিবহনের বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বাজিতপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলপাড় গজারিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তানিয়া কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের কল্যাণপুর ক্যাম্পাসে সেবিকা পদে কর্মরত ছিলেন। সোমবার (৬ মে) রাতে ঢাকা থেকে কটিয়াদী ও বাজিতপুরের পিরিজপুর হয়ে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন তিনি।
এদিকে তানিয়ার বাবা গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় স্বর্ণলতা বাসের চালক গাজীপুরের কাপাসিয়ার নূরুজ্জামান ওরফে নূর মিয়া (৩৮) ও হেলপার একই এলাকার লালন মিয়াকে (৩২) সোমবার (৬ মে) রাতেই পুলিশ আটক করেছে। পাশাপাশি ওই বাসের পিরিজপুর ও কটিয়াদীর দুই লাইনম্যানসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ‘মামলায় এজাহারভুক্ত চার আসামির মধ্যে চালক ও হেলপারসহ সন্দেহভাজন আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। আটককৃত পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো।’
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে তানিয়ার লাশ গতকাল মঙ্গলবার রাতেই মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন মো. হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ময়নাতদন্তে বাসে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।