লালমোহাম্মদ,শেরপুরঃ
শেরপুরের মধুটিলারেঞ্জের ঝিনাইগাতী সন্ধ্যাকুড়া বিটের বনবিভাগের উপকারভোগী ও বন এলাকার অধিবাসীরা স্থানীয় বালুব্যবসায়ী ছামিউল ফকিরের বিরুদ্ধে মহারশি নদী থেকে বালু উত্তোলণ করে প্রায় ৪ হেক্টর বনায়ন ধ্বংস করার অপরাধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করে সন্ধ্যাকুড়া মহারশী নদীর ব্রীজের উপর ৬ মে সকালে মানব বন্ধন করেন।
মধূটিলা রেঞ্জের সন্ধ্যাকুড়া বিটের উপকারভোগী নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে গজারী বাগানের সভাপতি কলিমুদ্দিন, সামাজিক বনায়নের সভাপতি শাহিনুর, বনউপকার ভোগীদের সভাপতি মোঃ আব্দুলাহ ও স্থানীয় আরমান ভুইয়া বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন ছামিউল ফকির ২০০৫ সাল থেকে মহারশি নদীর সন্ধ্যাকুড়া সীমান্ত সড়ক পথে ব্রীজ সংলগ্ন নদী থেকে ভারতের সীমান্ত সড়কের স্টিল সেতু পযর্ন্ত জিরো পয়েন্টের ২০০ মিটার নদীর বালু ড্রেজার দিয়ে উত্তোলণ করে নদীর দুই পারের গুমরা সামাজিক বনায়নের প্রায় ৪ হেক্টর জমির দামী কাঠগাছের বাগান বিনষ্ট করে।
ছামিউল ফকির ভারত বাংলাদেশের সীমানার জিরো পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে সামাজিক বনায়ন ধ্বংস করার কারনে বন বিভাগ ২০১৮ সালে একটি মামলা করে। উক্ত মামলায় ছামিউল ফকির সহ ৫ জন ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে সহ রুস্তম আলী (৪৫)ছায়েদুল ইসলাম (৩০)কে জেল হাজতে প্রেরন করেন। মানব বন্ধনে বক্তরা আরও বলেন বালু উত্তোলনের ফলে সীমান্ত সড়কের ব্রীজ ঝুঁকিতে পড়েছে।
শেরপুরে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তীর দাবীতে মানব বন্ধন
Date:
Share post: