পূর্বময় ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে নোয়াখালীর সদর, সুবর্ণচর ও হাতিয়ায় শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুবর্ণচরে বসতঘর ভেঙে চাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন নামে তিন বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে সুবর্ণচর ও হাতিয়ার বিভিন্ন স্থানে ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে এসব ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়।
নিহত ইসমাইল সুবর্ণচরের চর আমানউল্যা ইউপির আব্দুর রহমানের ছেলে। আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে অনেককে নোয়াখালী জেনারেল হসপিটাল ও সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা থেকে নোয়াখালীতে বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়। গভীর রাতে হঠাৎ সুবর্ণচর ও সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। কয়েক মিনিটের ঝড়ো হাওয়ায় বিধ্বস্ত হয় দুটি উপজেলার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি। এ সময় চর আমানউল্যা এলাকায় একটি ঘর ভেঙে পড়লে মায়ের কোলে থাকা শিশু ইসমাইল চাপা পড়ে নিহত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
শিশু নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় চর আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন।
ঝড়ে নোয়াখালী সদর ও সুবর্ণচর উপজেলায় সড়কে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। তবে গাছ সরিয়ে নেওয়ার পর যানবাহন চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুবর্ণচরে ঝড়ো হাওয়া ও ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার রাত থেকে সুবর্ণচরে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রয়েছে।