স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা ফুটবলার রেহানা পারভীন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন। এখন মহিলা ফুটবল এগিয়ে জানতে চাইলে রেহান পারভিন বলেন- বর্তমানে মহিলা ফুটবল দল ভাল করছে। আমরা হয়তো কিছু পাইনি কিন্তু নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু পাচ্ছে যেমন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছ থেকে সম্মান ও সম্মানী পাচ্ছে এজন্য আমি অত্যান্ত আনন্দিত।
অনূর্ধ্ব-১৯ কোয়ালিফাই রউন্ড মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতায় ২০০৬ইং নয়াদিল্লী, ভারতে অংশগ্রহণ করি।
ভারতের উড়িষ্যায় আমন্ত্রণমূলক মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতায় “বাফুফে একাদশ” নামে ৭টি প্রদেশে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৭টি প্রদেশের খেলার মধ্যে ২টি প্রদেশের খেলায় আমি সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হই।
প্রথম আন্তঃজেলা মহিলা ফুটবল ঢাকা জেলার পক্ষে খেলে চ্যাম্পিয়ান হই-২০০৬।
প্রথম নারী হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবলে A.F.C ‘C’ লাইসেন্স কোর্স সম্পন্ন ২০১২।
এ এফসি অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্ট লন্ডন কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড (১) ২০১২ইং মহিলা ফুটবল দলের স্পোর্টস ট্রেইনার হিসাবে দায়িত্ব পালন।
এএফসি অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ানশীপ বিদেশী মহিলা ফুটবল রেফারীদের লিয়াজো অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন। ২০-২৪শে সেপ্টেম্বর-২০১০ইং।
সাফ ফুটবল মহিলা চ্যাম্পিয়ানশীপ ২০১০। লিয়াজো অফিসার হিসাবে ১২ই ডিসেম্বর হইতে ২৩শে ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন।
ফিফা এমএ এলিট রেফারীস কোর্স-২০০৯
সংগঠকদের দুর্বলতা, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতির কারনে ফেডারেশন বা জেলা পর্যায়ে বলেন- ভাল মানের খেলোয়াড় বের হচ্ছে না। পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী ও দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা সুযোগ পাচ্ছে না। যারা ক্রীড়া পরিচালনা করছেন তাদের প্রতি অনুরোধ মানসম্পন্ন ক্রীড়া সংগঠক ক্রীড়াঙ্গনে রাখার অনুরোধ করছি।
রেহানা স্পোর্টস একাডেমী করেছেন আপনার এলাকায় এই একাডেমী নিয়ে কি ভাবছেন?
জেলা ও থানা পর্যায়ে ছেলে মেয়েদের প্র্যাকটিস চলছে আমার নিজস্ব অধ্যায়নে একাডেমী চলছে। সত্যি কথা বলতে পিষ্টপোষকতা না থাকলে কোন কিছুতে আগানো সম্ভব না। পিষ্টপোষকতা পেলে হয়তো হত দরিদ্র এলাকা থেকে খেলোয়াড় তুলে আনা সম্ভব।